মেসেজ পড়ি আর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ে: সাবা
Published: 18th, January 2025 GMT
মডেল ও অভিনেত্রী সোহানা সাবা ছোট পর্দা, ওটিটি এবং বড় পর্দায় অভিনয় করছেন সমান তালে। দেশের পাশাপাশি ভারতেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি দেশটির জয়পুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বিচারক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
বর্তমানে ভারতে রয়েছেন সাবা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেখান থেকে একটি ছবি প্রকাশ করে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে সোহানা সাবা লিখেছেন, “২০২৪-এর আগস্ট মাসে যখন আমাকে প্রতিবারের মতো প্রপোজাল দেওয়া হলো জুরি হতে, আমি এতটাই কাজহীন এবং মন খারাপ করেছিলাম যে, চট করে প্রপোজালটা এক্সেপ্ট করে নেই। জি হ্যাঁ, আমি অফিসিয়াল জুরি অব জয়পুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪। আমি এখন জয়পুরের পথে কলকাতা থেকে ফ্লাই করার জন্য অপেক্ষা করছি।’’
অভিনেত্রী আরো লিখেছেন, “একটা কথা বলতে চাই, আগে শুধু আমি আমার অভিনয় বা আমার কাজের ভক্ত পেয়েছি আজীবন। যারা আমাকে আমার কাজের জন্য ভালোবাসত। এখন (গত আগস্ট মাসের পরে) দেশের অথবা বিদেশের আনাচে-কানাচে প্রচুর বাংলাদেশি আমাকে ভালোবাসার দোয়া দিয়ে তাদের মেসেজ পাঠায়। আমি প্রত্যেকটা মেসেজ বা কথা পড়ি আর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে থাকে।”
কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন সাবা। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। ডিভোর্সের পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই পথ চলছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ