বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি। নির্বাহী সদস্য পদ শূন্য থাকায় তাকে মনোনীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং শেষে সভাপতি মিশা সওদাগর মুক্তিকে শপথ পাঠ করান। এ তথ্য জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও মুক্তি নিজেই। এসময় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনেক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, মুক্তিকে কমিটিতে পেয়ে আনন্দিত তারা।
শিল্পী সমিতির সদস্য পদে শপথ নিয়ে আনন্দিত মুক্তি বলেন, “সমিতির বাইরে থেকেও বিগত দিনে শিল্পীদের জন্য কাজ করেছি। এখন যেহেতু সমিতির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ হলো, এটি আমার জন্য আরো ভালো হলো। কাজ করাটা আরো সহজ হবে। এই কমিটির সদস্যরা দারুণ। এ কারণে আমি আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে শপথ নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
শুটিং সেটের সিলিং ভেঙে আহত অর্জুন-ভূমি
কাজের লোককে ‘ঝি’ বলা যাবে না কেন, প্রশ্ন অঞ্জন দত্তর
জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে কার্যনির্বাহী সদস্য পদটি শূন্য ছিল। আরেক চিত্রনায়িকা শাহনূর পর পর ৩ মিটিংয়ের অধিক অনুপস্থিত থাকায় কার্যকরী পরিষদ তাকে কারণ দর্শানের নোটিশ দেন। তবে কোনো চিঠির উত্তর না মেলায় এবং সমিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে তার যোগাযোগ বিছিন্ন থাকায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদটি শূন্য হয়ে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শাহনূরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মুক্তি।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব বলেন, “বেশ কয়েক মাস ধরে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। আমরা নিয়ম অনুযায়ী শাহনূরকে কারণ দর্শানের চিঠি দেই। কিন্তু একটি চিঠিরও উত্তর পাইনি। তার অনুপস্থিতিতে পদটি শূন্য থাকে। সেখানে চিত্রনায়িকা মুক্তি কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। মিটিংয়ে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে ওই পদে মুক্তিকে নেওয়া হয়েছে।”
মুক্তি বলেন, “আগে থেকেই আমি সমিতির জন্য নিবেদিত ছিলাম। সমিতি সবসময় তাদের পাশে আমাকে পেয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি শিল্পীদের জন্য কিছু করতে। তবে কমিটিতে থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়। সেই ভাবনা থেকে কমিটিতে যুক্ত হয়েছি। এরই মধ্যে শিল্পীদের কথা ভেবে বেশকিছু পরিকল্পনা করেছি। শিগগিরই সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করব।”
খ্যাতিমান অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের মেয়ে চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি। গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ সিনেমায় চম্পার মেয়ে গোপী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মুক্তির। ‘চাঁদের আলো’ সিনেমায় চিত্রনায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। জনপ্রিয় লেখক ও পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় জমিদারের নাতনির চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করেন দর্শকদের। এরপর চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাসন রাজা’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন মুক্তি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র সদস য কম ট ত র জন য ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি
ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিট।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের অ্যাডহক কমিটির বিধান নেই। তবুও ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ অ্যাডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোনো ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে অ্যাডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।
এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করবো।”
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/মামুন/ফিরোজ