অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) থেকে গলে শুরু হবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজকে সামনে রেখে আজ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ঘোষণা করেছে। দলে নতুন মুখ হিসেবে রাখা হয়েছে স্পিনিং অলরাউন্ডার সোনাল দিনুশাকে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেই দলে ডাক পেয়েছেন দিনুশ। কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে গেল কয়েক সপ্তাহে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন।গেল মাসে হাঁকিয়েছেন দুই-দুটি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষেও রান পেয়েছিলেন। ৪৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে তার গড় যথাক্রমে ৪০.

০৮ ও ২৪.০৬। 

ইনজুরির কারণে দলে নেই পাথুম নিসাঙ্কা। তার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে ব্যাটসম্যান লাহিরু উদারাকে। অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভারও কিছুটা ইনজুরি রয়েছে। তবে তাকে দলে রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কা সফরে একটি নয় দুটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া

মুসলিম-তামিলদের ‘মনের মানুষ’ অনূঢ়া!

লেগ স্পিনার জেফেরি বন্দরসে ও অফ-স্পিনার নিশান পেইরিসও জায়গা পেয়েছেন দলে। যথারীতি শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণকে নেতৃত্ব দিবেন প্রবথ জয়সুরিয়া। পেস বিভাগে আছেন আসিথা ফার্নান্দো, বিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা ও মিলান রত্নায়েকে।

ব্যাটিংয়েও আছে পরীক্ষিতরা। দিমুথ করুণারত্নে এই সিরিজে তার শততম টেস্ট পূর্ণ করবেন। এছাড়াও আছেন অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কামিন্দু মেন্ডিস। ধনঞ্জয়া ডি সিভলা ও কুসল মেন্ডিসও রয়েছেন ব্যাটসম্যানদের তালিকায়। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।

১১ টেস্টের ৬টিতে হেরে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই শ্রীলঙ্কার। অস্ট্রেলিয়া তাদের ১৭ ম্যাচের ১১টিতে জিতে ও দুটিতে ড্র করে ইতোমধ্যে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে। তাদের সঙ্গে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। 

শ্রীলঙ্কা টেস্ট দল:
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), দিমুথ করুণারত্নে, পাথুম নিসাঙ্কা (ফিটনেস সাপেক্ষে), ওশাদা ফার্নান্দো, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, কামিন্দু মেন্ডিস, কুসল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, সোনাল দিনুশা, প্রবথ জয়সুরিয়া, জেফরি বন্দরসে, নিশান পেইরিস, আসিথা ফার্নান্দো, বিশ্ব ফার্নান্দো, লাহিরু কুমারা ও মিলান রথনায়েক।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঐক্য অটুট রাখা জরুরি, ফ্যাসিবাদ ফিরে এলে কেউই রেহাই পাবে না: এবি পার্টি

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিদের আত্মঘাতী সংঘাতে জড়ানোর সুযোগ নেই। মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে, সমালোচনাও হবে, তবে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ঐক্য অটুট রাখা জরুরি। কারণ, ফ্যাসিবাদ ফিরে এলে জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা কেউই রেহাই পাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে জুলাই–২৪ গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই মজিবুর রহমান এ কথাগুলো বলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল না হতো তাহলে আমাদের কারাগারে কাটাতে হতো, নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা লাশের স্তূপ তৈরি করেছিল, তারা পেত রাষ্ট্রীয় খেতাব।’

গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতাসহ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলেই সফল হয়েছে জানিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, সবার অবদানকেই স্বীকৃতি দিতে হবে। এটা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। অনেক কিছুই পাইনি। তবে স্বাধীনভাবে যে কথা বলছি, লিখছি, বক্তব্য দিচ্ছি, সেটা গণ-অভ্যুত্থানেরই ফসল।

সংবর্ধনা পাওয়া জুলাই যোদ্ধা আসিফ বলেন, ‘আমার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে। মনে হচ্ছিল মৃত্যু উপত্যকায় পড়ে আছি। এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক টুটুল ভাই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।’

আরেক জুলাই যোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৮ জুলাই আমি ছিলাম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। পুলিশ ছিল দুই পাশে। আমরা ছিলাম ৬ জন। কিন্তু তারা (পুলিশ) ছিল ৮৬ জন। ওই দিন জীবিত ফিরব কখনো কল্পনা করিনি।’

অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আতিকুর রহমান, রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, শাখাওয়াত হোসেন, আকিব হাসান, আশরাফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহ, রোমান মিয়া, সিফায়েত হোসাইন, মোহাম্মদ হোসাইন আহমেদ, মোহাম্মদ আমিন, নাবিল, মুস্তাফিজ বিল্লাহ হাবিবী, হাবিবুর রহমান, ফয়েজ আকাশ, নুরুল হুদা, ইকবাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল। দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক  আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবি পার্টির নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ