রাজধানীর বংশালে মাকসুদা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে বংশাল থানার শিক্ষাটুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

বংশাল থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

যান্ত্রিক ত্রুটিতে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন

গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন: নাসিরুদ্দিন

তিনি জানান, ইব্রাহিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার গোপালপুর নতুনপাড়া এলাকায়। ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী মাকসুদা খাতুন বংশাল থানার শিক্ষাটুলি এলাকার ২৪ নম্বর বাসায় থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে ইব্রাহিম তার স্ত্রী মাকসুদা খাতুন পরকীয়া করছেন এমন সন্দেহ করতেন। এর জেরে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল বিকেলে এই বিষয় নিয়েই তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী ইব্রাহিম হাতুড়ি দিয়ে তার স্ত্রী মাকসুদা খাতুনকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ