কারাবন্দিদের খবর জানতে স্বজনদের জন্য একটি হটলাইন নম্বর চালু করেছে সরকার। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এ সেবা উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘হটলাইন নম্বরটি হলো ০৯৬১২০২১৬৯০। এই নম্বরে কল দিয়ে স্বজনেরা বন্দিদের খবর জানতে পারবেন। নম্বরটি সবসময় খোলা থাকবে।’’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সারাদেশের ৬৮টি কারাগারের বন্দিদের তথ্য মিলবে এই নম্বরে কল দিলে। এটি ব্যবহার করে বন্দির অবস্থান, হাজিরার তারিখ, সাক্ষাতের তারিখ, ফোনে কথা বলার তারিখ, শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে অভিযোগ কিংবা পরামর্শ দেওয়া যাবে।’’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে কারাগার থেকে পালানো বন্দির মধ্যে এখনো ৭০০ পলাতক রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘যেসব আসামি কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের অধিকাংশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ধরা যায়নি।’’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে যারা এসব করছে তারা ধরাও পড়ছে। আবার যারা ছাড়া পাচ্ছে তারাও এ ধরনের কাজ করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি, যেভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পুলিশের স্বল্পতা নেই, তবে আগের মতো কাজের উদ্যম নেই। তাদের কাজের উদ্যম বাড়াতে চেষ্টা করছি।’’

ঢাকা/শিপন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ