এবারের বিপিএলে সবচেয়ে আলোচিত দলের তালিকায় শীর্ষে আছে দুর্বার রাজশাহী। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমানও নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। খেলোয়াড়দের বকেয়া অর্থ ও হোটেল বিল নিয়ে বিতর্ক এখনো থামেনি। তবে এসবের মধ্যেই টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর দলকে বোনাস দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রাম পর্বেই রাজশাহীর বিতর্কিত অধ্যায়ের শুরু। ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামে তাদের প্রথম ম্যাচের একদিন আগে খেলোয়াড়রা প্রথম ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণে অনুশীলনে যেতে অস্বীকৃতি জানান। একই সময়ে হোটেলের বিল নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় দলকে।  

ঢাকায় ফিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। প্রথম ম্যাচে পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণে কোনো বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামেননি। তবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে রাজশাহী হারিয়ে দেয় টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল রংপুর রাইডার্সকে। এরপর গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করেছে রাজশাহী।  

রাজশাহীর এই ঘুরে দাঁড়ানোতে উচ্ছ্বসিত দলটির মালিক শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য ছিল প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়া। মানুষ অনেক কথা বলেছে, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তবে আমাদের স্থানীয় ছেলেরা দেখিয়ে দিয়েছে তারা কী করতে পারে।'  

বোনাস প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, 'আমরা সবসময় বোনাস দিই। খুব শিগগিরই ঘোষণা শুনবেন।' 

রাজশাহী দলের এই সাফল্যে বড় অবদান রেখেছেন বর্তমান অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। ২০ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব নেওয়া তাসকিনের নেতৃত্বে রাজশাহী ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তার প্রশংসায় শফিকুর রহমান বলেন, 'অধিনায়ক হিসেবে তাসকিন পারফেক্ট। আমাদের এই পরিকল্পনাই ছিল- দুই ধাপে নেতৃত্বের পরিবর্তন। সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যা কার্যকর হয়েছে।'

গ্রুপ পর্ব শেষে রাজশাহী ১২ ম্যাচে ৬টি জয় নিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। এখন তাদের চোখ প্লে-অফের স্বপ্নপূরণের দিকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ