হাবিপ্রবিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
Published: 28th, January 2025 GMT
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ভর্তি কমিটি-২০২৫ এর সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে। ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চারটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সর্বমোট ১ হাজার ৭৯৫টি আসনের অতিরিক্ত হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুইটি, পোষ্য কোটা ১ শতাংশ, বিকেএসপি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০টি আসন সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে।
পরীক্ষয় আবেদনের শর্তে বলা হয়েছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে। ২০২১ সালের পূর্বে মাধ্যামিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য।
আবেদনের যোগ্যতা নিয়ে বলা হয়েছে, ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক/মাদরাসা/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.
এগ্রিকালচার, ফিসারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্স অনুষদের ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয়ে ন্যুনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক/মাদরাসা/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমান বা এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ স্কেলে প্রতিটিতে ন্যুনতম ৩.৫ সহ মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে।
বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড থাকতে হবে। ‘ও’ ও ‘এ’ লেভেল পাসকৃতদের জন্য ‘ও’ লেভেলে পাঁচটি বিষয়ে প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড এবং ‘এ’ লেভেলে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান/কৃষি বিজ্ঞানের মধ্যে তিনটি বিষয়ে প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের (https://hstu.ac.bd/admission/index) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীরা আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একই ওয়েবসাইট থেকে নিজ নিজ প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোডের পূর্বে আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। পরীক্ষার দিন পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন ছবি এবং প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আনতে হবে।
এছাড়া, আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটভিত্তিক বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে জানানো হবে। ভর্তি পরীক্ষা বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই এমন কোন তথ্য জানতে চাইলে ০১৭২৯২৬৬২৪৬, ০১৮২২০২৬২২২, ০১৫১৫২৫৬৮১০ নম্বরে অথবা [email protected] ই-মেইল নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ, শিশুদের জন্য মা-বাবা পাবেন ভাতা
তিন বছরের কম বয়সী প্রতিটি শিশুর জন্য মা-বাবাদের বছরে ৩ হাজার ৬০০ ইউয়ান (প্রায় ৫০০ ডলার) করে ভাতা দেবে চীন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬১ হাজার টাকা। জন্মহার বাড়াতে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হবে।
দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এই ভর্তুকি প্রায় দুই কোটি পরিবারকে শিশু লালন-পালনের খরচ সামলাতে সহায়তা করবে।
প্রায় এক দশক আগে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দেশটির বিতর্কিত এক সন্তান নীতি বাতিল করে। তবে এরপরও চীনের জন্মহার কমেই যাচ্ছে।
চীনের একাধিক প্রদেশ ইতিমধ্যেই জনগণকে আরও বেশি সন্তান নিতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অর্থ সহায়তার পাইলট প্রকল্প চালু করেছে। কারণ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখন জনসংখ্যাগত দিক থেকে গুরুতর সংকটের মধ্যে আছে।
গত সোমবার চীন সরকার ঘোষিত নতুন কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি শিশুর জন্য অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮০০ ইউয়ান পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে চীন এখন বিশ্বের ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি। চীনে একটি শিশুকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত লালন–পালন করতে গড়ে ৭৫ হাজার ৭০০ ডলার খরচ হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯৩ লাখ টাকা।চীনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই নতুন নীতিটি চলতি বছরের শুরু থেকে কার্যকর বলে ধরা হবে। এর মানে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যেসব পরিবারে সন্তান জন্মেছে, তারাও আংশিক ভর্তুকির জন্য আবেদন করতে পারবে।
চীনে জন্মহার বাড়াতে এর আগে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল।
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় হোহহত শহরের কর্তৃপক্ষ গত মার্চে ঘোষণা দেয়, অন্তত তিনটি সন্তান থাকা দম্পতিরা প্রতি সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ ইউয়ান পর্যন্ত অর্থসহায়তা পাবেন।
বেইজিংয়ের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শেনইয়াং শহরের কর্তৃপক্ষ যেসব দম্পতির তিন বছরের কম বয়সী তৃতীয় সন্তান আছে, তাদের প্রতি মাসে ৫০০ ইউয়ান করে দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে বিনা মূল্যে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে চীন সরকার।
চীনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এই নতুন নীতিটি চলতি বছরের শুরু থেকে কার্যকর বলে ধরা হবে। এর মানে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যেসব পরিবারে সন্তান জন্মেছে, তারাও আংশিক ভর্তুকির জন্য আবেদন করতে পারবে।চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে চীন এখন বিশ্বের ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি। চীনে একটি শিশুকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত লালনপালন করতে গড়ে ৭৫ হাজার ৭০০ ডলার খরচ হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯৩ লাখ টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে চীনের জনসংখ্যা টানা তৃতীয় বছরের মতো কমেছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে ৯৫ লাখ ৪০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেশি হলেও মোট জনসংখ্যা কমতির দিকেই আছে।
বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি। তবে এই বিশাল জনগোষ্ঠী দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছে, যা বেইজিংয়ের জন্য জনসংখ্যাগত উদ্বেগ তৈরি করছে।
আরও পড়ুনসন্তান লালন-পালনে অনীহা বাবাদের, ৬০ বছরে প্রথম কমল চীনে জনসংখ্যা১৭ জানুয়ারি ২০২৩আরও পড়ুনজনসংখ্যা কমে যাওয়া চীনের জন্য কতটা বিপদের২১ জানুয়ারি ২০২৩