মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া শিমার ভর্তির দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক
Published: 29th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী শিমা আক্তারের ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিমার হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন তিনি। টাকার অভাবে এ মেধাবী শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
শিমা আক্তার বলেন, ‘‘মেডিকেলে পড়ব সেই স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত হলেও টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছিল। পরে জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন ভর্তির জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। যেভাবে সবার সহযোগিতা পেয়েছি, একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে আমিও অন্যদের সহযোগিতা করব।’’
শিমার মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘‘দুই ছেলে কৃষিকাজসহ দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। অভাবের সংসারে টানাপোড়নের মাধ্যমে শিমাকে পড়ালেখা করিয়েছি। সে এখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবে। আমি চাই, সেও যেন ভবিষ্যতে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসে।’’
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী শিমা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। প্রাথমিকভাবে ভর্তিসহ আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য আমরা তাকে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজন জেলা প্রশাসন ও কমলনগর উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে। শুধু শিমার ক্ষেত্রেই নয়, জেলার প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাজীবনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য যা প্রয়োজন জেলা প্রশাসনের সেই উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’’
শিমা আক্তার লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের আলী আহমেদের মেয়ে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে শিমা পঞ্চম।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি শিমা। এবার মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৩১৬তম স্থান অর্জন করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
ঢাকা/লিটন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ র জন য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫