জাবির ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
Published: 29th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা।
তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন ৯ ফেব্রুয়ারি জীব বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা পাঁচ শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। ১০ তারিখে একই ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা চার শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। একই তারিখে পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম দুই শিফটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভুক্ত ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের মেয়েদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আলী রেজা জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ছেলেদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ছয় শিফটে কলা ও মানবিকী অনুষদ ভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম শিফটে ‘সি-১’ ইউনিটের এবং একইদিন পরের তিন শিফটে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির জন্য মোট ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। প্রতিটি আসনের বিপরীতে এবার ১৪৫ জন করে ভর্তিচ্ছুরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র পর ক ষ ইউন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।