Samakal:
2025-07-31@16:05:31 GMT

নতুন দল নিয়ে নাহক বিতর্ক

Published: 29th, January 2025 GMT

নতুন দল নিয়ে নাহক বিতর্ক

দেশে আরেকটি রাজনৈতিক দল জন্ম নিতে যাচ্ছে; জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের উদ্গাতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে। আসন্ন দলটি রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা; কতদিন টিকে থাকবে; শুধু ছাত্ররাই, নাকি প্রবীণরাও যুক্ত হবেন– এসব নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট। এ বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া কিছু প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে যখন বিএনপি গঠন করেন, আমি তখন ভাসানী ন্যাপের ছাত্র সংগঠন ‘জাতীয় ছাত্রদল’ শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। প্রশ্নটি তখনও উঠেছিল– একজন সামরিক শাসকের দলে ন্যাপের একীভূত হওয়া ঠিক কিনা। এ নিয়ে ন্যাপের তৎকালীন চেয়ারম্যান মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার বাসায় মুন্সীগঞ্জ মহকুমা ন্যাপের নেতাদের আলোচনা হচ্ছিল। যাদু ভাই বললেন, ‘একজন সামরিক শাসকের দ্বারা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে অনার জন্য আমাদের অংশ নেওয়া কি অন্যায়?’ 

ওই বছরের ১৪ জুলাই মতিঝিলের হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত ন্যাপের কর্মী সম্মেলনে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে নতুন দলে সম্পৃক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘সামরিক শাসকের সঙ্গে রাজনীতি করব না’ বলে আনোয়ার জাহিদ তাঁর কতিপয় অনুসারীকে নিয়ে সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান। অবশ্য পরবর্তী সময়ে জেনারেল এরশাদের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ ও তাঁর দলে যোগ দিতে অনোয়ার জাহিদ দ্বিধা করেননি। পরে তিনি  বিএনপিতেও তাশরিফ এনেছিলেন। নতুন ফর্মুলা দিয়েছিলেন– ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদী আগ্রাসন মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের নিমিত্তে’ তাঁর বিএনপিতে যোগদান।

ঐতিহাসিক সত্য হলো, বিএনপি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। তবে দলটির প্রাথমিক মূলধন ছিল রাষ্ট্রপতি জিয়ার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। দলটির এক সময়ের কর্মী হিসেবে দ্বিধাহীন কণ্ঠেই বলতে চাই, এখনও বিএনপির প্রধান পুঁজি জিয়ার অম্লান ভাবমূর্তি। আওয়ামী লীগ নেতাদের কটাক্ষের জবাবে টিভি টকশোতে আমি বলতাম, ‘জন্ম হউক যথা তথা, কর্ম হউক ভালো’। বিএনপি যেভাবেই জন্ম নিয়ে থাকুক, দলটিকে ব্যাপক জনসাধারণ সমর্থন করে বলেই বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় যাচ্ছে এবং দমন-নির্যাতনের পরও টিকে আছে।

এখন বিএনপি নেতাদের বক্তব্য-বচনে পরিষ্কার– তারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না। গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘নতুন দল গঠনকে বিএনপি স্বাগত জানায়। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তা হলে জনগণ হতাশ হবে।’ 

নতুন দলটির ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা’ পাওয়ার অভিযোগের কারণ, যাদের নেতৃত্বে দলটি প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাদের তিন প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। অতীতে এ ধরনের দৃষ্টান্তও রয়েছে; বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ঘটনার যদি পুনরাবৃত্তি ঘটেও, অন্তত বিএনপির তাতে আপত্তি কেন?

দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দ্বি-দলীয় বৃত্তের বাইরে নতুন রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুদয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়ে আসছিল। রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে এ দুই দল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বিস্মৃত হয়ে দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের গণ্ডিতে আবদ্ধ হওয়ায় জনগণের মধ্যে হতাশা তো রয়েছেই। দুই দলের বিপরীতে যদি একটি ভালো মানুষের দল তৈরি হয়, তাহলে অনেকে সমর্থন জানাবে। অবশ্য রাজনীতিতে তৃতীয় ধারা সৃষ্টির চেষ্টা আগেও হয়েছে; তা বাস্তব রূপলাভ করেনি। এর প্রধান কারণ, তৃতীয় ধারা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাই দুই বড় দলেরই সুবিধাভোগী। ফলে তারা জাতিকে নতুন কিছু দিতে পারবেন– এ বিশ্বাস জন্মানো কঠিন। 

এবারের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন। তারুণ্যনির্ভর নতুন দলটির উদ্যোক্তারা একটি অসাধ্য সাধনের পুরোভাগে ছিল। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর নিরলস চেষ্টাতেও বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দল যেটা করতে পারেনি, এই তরুণরা সেটা করেছে। তারা জাতির বুকে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। বিএনপি যতই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশীদারিত্বের কথা বলুক, তারা পুরোভাগে ছিল না। 

মানতেই হবে, ১৫ বছর ‘নিরবচ্ছিন্ন’ আন্দোলনের যে নিদর্শন বিএনপি স্থাপন করেছে, তাতে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন অপসারণ সম্ভব ছিল না। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পুলিশি অ্যাকশনে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া বিএনপি পরবর্তী ১০ মাসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তারপর আওয়ামী লীগ আরেকটি সাজানো নির্বাচন করে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছিল। এটা ঠিক, হাসিনা সরকারের নির্যাতনে পিষ্ট বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জুলাই আন্দোলনে নেমে পড়েছিলেন। সে হিসাবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে বিএনপি নেতাকর্মীর অবদান অস্বীকার করা যাবে না। 

নতুন দল গঠন ও আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এখন অন্তর্বর্তী সরকারকেও প্রশ্ন করছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনের সময় ‘নিরপেক্ষ সরকার’ প্রয়োজন। তার মানে, এই সরকার নিরপেক্ষ নয়! অথচ ইতোমধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে, সরকার-সংশ্লিষ্ট কেউ নতুন দলে সম্পৃক্ত হতে চাইলে তাঁকে পদত্যাগ করে আসতে হবে। 

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী মাসে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের কথা। এখনও স্পষ্ট নয়, সে দলে কারা সম্পৃক্ত হচ্ছেন; দলটির আদর্শ-উদ্দেশ্য কী। কিন্তু বিএনপির প্রতিক্রিয়া দেখে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক, নতুন দলের আত্মপ্রকাশ যেন তাদের বাড়া ভাতে ছাই দিতে যাচ্ছে। অথচ উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত নতুন দলকে অকুণ্ঠচিত্তে স্বাগত জানানো।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রজীবনে চীনপন্থি বাম ধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নিশ্চয় মাও সে তুংয়ের ‘শত ফুল ফুটতে দাও’ বাণীর সঙ্গে পরিচিত। দেশের রাজনৈতিক বাগানে যদি আরেকটি ফুল ফোটে, তাতে তাঁর অন্তত আপত্তি থাকা উচিত নয়।

মহিউদ্দিন খান মোহন: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ র ন র জন আওয় ম দলট র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই বৈঠক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠা মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা সেখানে এসব ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ওই মামলার তদন্ত করছে। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

এই মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। ‘তারা প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’, ‘প্রজন্ম ৭১’, ‘শেখ হাসিনা’সহ বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সদস্য। একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বসুন্ধরায় ওই গোপন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি বাসা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা-পুলিশ। ওই দিন একই এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী শামীমা নাসরিনকে (শম্পা) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ১৩ জুলাই ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সোহেল রানা ও শম্পাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়।

মেজর সাদিক নামের একজন আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে—এমন সংবাদের বিষয়ে আজ সেনা সদরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত। তাঁর বিষয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলতে পারব।’

ওই ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এ রকম ঘটনা জানার পরে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই তিনি আছেন। তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন বলেছেন, মেজর সাদিকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংগঠিত করে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভাটারা থানা এলাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ৭ নম্বর রোডের কে বি কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলা ভাড়া নেওয়া হয়। মেজর সাদিক সেদিন সরকার উৎখাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

বসুন্ধরার ওই কনভেনশন হলের ব্যবস্থাপক মুজাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবে সারা দিন কনভেনশন হলের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, সেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীসহ সমবেতদের নাশকতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আরও অন্তত চারটি প্রশিক্ষণ হয়েছিল। তবে সবগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

মামলার তদন্ত সম্পৃক্ত ডিবির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা, উপস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রেপ্তার অন্যদেরও রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোপন এই ষড়যন্ত্রে যাঁরা জড়িত ছিলেন, সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ