বন্দরে যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৪০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১
Published: 30th, January 2025 GMT
বন্দরে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজার ৪০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাজেদ শেখ (৪২) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নারায়নগঞ্জ খ সার্কেল। ধৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজেদ শেখ সুদূর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার গট্টিয়া এলাকার মৃত পিয়ারুদ্দিন মিয়ার ছেলে। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ দীপু বাদী হয়ে বন্দর থানায় মাদক আইনে এ মামলা রুজু করে। যার মামলা নং- ৪০(১)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৬টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকাগামী বিপুল এন্টারপ্রাইজ ঢাকা মেট্রো ব ১৪-১২৬৪ নাম্বারে বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাসহ ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
 মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়ে, ধৃত মাদক কারবারি মাজেদ শেখ দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”
তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”
“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”
তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”
সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।”
ঢাকা/ইভা