সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। চারদিন আগে ঢাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাথা ও ভ্রুতে আঘাত পেয়েছেন শাহনাজ খুশি, এখন নিজের বাসায় বিশ্রামে আছেন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) শাহনাজ খুশি কয়েকটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করে দুর্ঘটনার খবর জানান।

লেখার শুরুতে শাহনাজ খুশি বলেন, “বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন! চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মতো শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া। এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০টা সেলাই লেগেছে। আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি, এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।”

আরো পড়ুন:

ট্রেনে হার্ট অ্যাটাকে পরিচালকের মৃত্যু

রাজের নায়িকা ফারিণ!

স্কুলগামী বাচ্চাদের নিয়ে যেসব বাবা-মা রাস্তায় বের হন, তাদের সতর্ক করে শাহনাজ খুশি বলেন, “কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা-বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানা প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়তো ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি, কোনো বাচ্চা এই আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারিচালিত অসভ্য, বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।”

দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, “আমি গলির ভেতরের রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণ শেষে, অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবি যান চালক, কারো তোয়াক্কা করে না।”

বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, “আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোনো বোধশক্তি নাই। জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরব কিনা, সেটা যদিও ফিরি, রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলব না।”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, “কাতর অবস্থায় বিছানায় পড়ে থেকে বার বার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম/ ট্রেনে, বাসে, রিকশা, প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই, অস্ত্রসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ঢুকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ব্যে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা, সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাট-সিগনালে পুলিশ বা ট্রাফিক না থাকা, যেকোনো রাস্তায় অবরোধ-মারামারি, তাহলে আমাদের সুরক্ষাটা কে দেবে? কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা বা সুশৃঙ্খল শিক্ষাঙ্গন, আপনারাও কি ভাবছেন? সবার জীবন সংকটহীন, মঙ্গলময় হোক।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।

দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।

ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?

নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে

সম্পর্কিত নিবন্ধ