সড়ক দুর্ঘটনায় আহত খুশি, সেলাই পড়েছে ১০টি
Published: 31st, January 2025 GMT
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। চারদিন আগে ঢাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাথা ও ভ্রুতে আঘাত পেয়েছেন শাহনাজ খুশি, এখন নিজের বাসায় বিশ্রামে আছেন।  
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) শাহনাজ খুশি কয়েকটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করে দুর্ঘটনার খবর জানান।
লেখার শুরুতে শাহনাজ খুশি বলেন, “বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন! চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মতো শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া। এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০টা সেলাই লেগেছে। আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি, এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।”
আরো পড়ুন:
ট্রেনে হার্ট অ্যাটাকে পরিচালকের মৃত্যু
রাজের নায়িকা ফারিণ!
স্কুলগামী বাচ্চাদের নিয়ে যেসব বাবা-মা রাস্তায় বের হন, তাদের সতর্ক করে শাহনাজ খুশি বলেন, “কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা-বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানা প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়তো ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি, কোনো বাচ্চা এই আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারিচালিত অসভ্য, বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।”
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, “আমি গলির ভেতরের রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণ শেষে, অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবি যান চালক, কারো তোয়াক্কা করে না।”
বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, “আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোনো বোধশক্তি নাই। জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরব কিনা, সেটা যদিও ফিরি, রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলব না।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, “কাতর অবস্থায় বিছানায় পড়ে থেকে বার বার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম/ ট্রেনে, বাসে, রিকশা, প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই, অস্ত্রসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ঢুকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ব্যে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা, সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাট-সিগনালে পুলিশ বা ট্রাফিক না থাকা, যেকোনো রাস্তায় অবরোধ-মারামারি, তাহলে আমাদের সুরক্ষাটা কে দেবে? কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা বা সুশৃঙ্খল শিক্ষাঙ্গন, আপনারাও কি ভাবছেন? সবার জীবন সংকটহীন, মঙ্গলময় হোক।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুর-৩: জাতীয় পার্টির আসন দখলে নিতে প্রচারণা শুরু বিএনপির
কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন রংপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কব্জায় থাকা এ আসনটি দখলে নিতে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
রংপুর-৩ আসনটি মূলত নগরীর কোতোয়ালি, সদর ও সিটি করপোরেশনের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। প্রায় চার লাখের বেশি ভোটারের এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। এই আসনে সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন জি এম কাদের।
আরো পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
কিশোরগঞ্জ-৪, নতুন করে আলোচনায় ফজলুর রহমান
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী কেরামতিয়া মসজিদে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নামাজ পড়েন সামু। এরপর কেরাম মতিয়া এলাকা, কোর্ট চত্বর ও নগরীর সিটি বাজার এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
সামু বলেন, “জনগণ এবার পরিবর্তন চায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে নামছি। বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত হবে।”
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সামসুজ্জামান সামুর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা জানান, স্থানীয় নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতীয় পার্টির এই ঘাঁটিতে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হতে পারবে।
রংপুর-৩ আসনটিতে সামসুজ্জামান সামুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই) প্রার্থী ও দলটির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল। আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন নয়ন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ