সিলেটে স্ত্রীর জানাজার আগেই স্বামীর মৃত্যু
Published: 2nd, February 2025 GMT
স্ত্রীর জানাজা নামাজের প্রায় ১০ মিনিট আগে মারা গেলেন স্বামীও। ‘স্বামী-স্ত্রী’র এক সাথে চলে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে এলাকায়।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের ইলামেরগাঁও (আটঘর) গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন পৌর শহরের ইলামেরগাঁও (আটঘর) গ্রামের জমসিদ আলীর স্ত্রী হাওয়ারুন নেছা (৮০)। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মরহুমার জানাজার নামাজ পড়ার সময় নির্ধারণ করেন পরিবার ও এলাকাবাসী। স্ত্রীর জানাজার নামাজের ঘণ্টাখানেক আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জমসিদ আলী (৯০)।
অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসা নিয়ে স্ত্রীর জানাজার নামাজের পূর্বেই তিনি নিজ বাড়িতে ফেরেন। স্ত্রীর জানাজার ১০/১৫ মিনিট আগে স্বামী জমসিদ আলীও ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
মরহুম দম্পত্তির ছেলে আব্দুল আজিজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হাওয়ারুন নেছার জানাজার নামাজ নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে জমসিদ আলীর জানাজার নামাজ বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়।
আজিজ বলেন, “আমার মায়ের জানাজার সময় ঠিক করা হয়েছিল আজ বেলা ১১টায়। বাবাও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তারও মৃত্যু হয়। পৃথক সময়ে দুজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
বাবা-মায়ের জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ঢাকা/নূর/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।