শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ‘আন্দোলনে বিরতি’, যান চলাচল স্বাভাবিক
Published: 2nd, February 2025 GMT
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সড়কে নামা গণঅভ্যুত্থানে আহতরা শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ‘আন্দোলনে বিরতি’ দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিটে আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থান ত্যাগ করলে ৮ ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে তারা রাজধানীর শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় অবরোধ করেছিলেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘‘মাগরিবের আজান এবং সকলের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছি আমরা। বিরতি শেষে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।’’
আরো পড়ুন:
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আহত আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় র্যালি, ব্যানারে ‘৪৭-৭১-২৪’
এর আগে, বিকেলে মোহাম্মদ শরীফ বলেছিলেন, “আমাদের দুজন সহযোদ্ধা আহত হওয়ায় ৪টার পরিবর্তে ৬টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে যদি কোনো উপদেষ্টা দেখা না করেন, তাহলে আমরা সচিবালয় নয়, সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে যাব।’’
দরকার হলে কেউ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন— এমন হঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা কমপ্লায়েন্স অনুসরণে
অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদের আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স’ শীষর্ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্টার এ. কে. এম নুরুন্নবী কবির এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নুরুন্নবী কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে ৩ লাখ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত রয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়ে থাকে।’’
তিনি জানান, শুধু কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয়টি আনলাইন সেবার বাইরে আছে। যেটি ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়সমত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদেরকে আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।’’
বিশেষ করে সরকারের সকল সেবা প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কমপ্লায়েন্স মেনে চলার উপর তিনি জোরারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও শিল্পখাতের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে লিমিটেড কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি আইন, গঠনতন্ত্র বা কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়ের জটিলতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’’
কর্মশালাটি পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা প্রভৃতির গুরুত্ব, সময়মতো এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পদ্ধতি, কোম্পানি আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স বজায় রাখার কৌশল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে বলে জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
ঢাকা/নাজমুল//