অবশেষে বিপিএলের প্রাইজমানি বাড়াল বিসিবি। গত দুই মৌসুমের ফাইনালিস্টরা একই পরিমাণ টাকা পেয়েছিল—চ্যাম্পিয়ন ২ কোটি টাকা, রানার্সআপ ১ কোটি। এর এর সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে প্রাইজমানির সংখ্যাও। দল ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোট ১০ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।

সব মিলিয়ে একাদশ বিপিএলে ২ কোটি ৩ লাখ টাকা প্রাইজমানি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামীকালের ফাইনাল সামনে রেখে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন প্রাইজমানির ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।

আরও পড়ুনবিপিএল ফাইনালে তামিমকে ‘বিদায়’ জানাবে বিসিবি১ ঘণ্টা আগে

চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের জন্য প্রাইজমানি বেড়ে আড়াই কোটি ও দেড় কোটি করলেও টুর্নামেন্ট সেরা, ম্যাচসেরা, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, উইকেট সংগ্রাহক ও সেরা ফিল্ডারের প্রাইজমানি আগের মতোই রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হওয়া প্রাইজমানি ক্যাটাগরি হচ্ছে তৃতীয় ও চতুর্থ দল এবং উদীয়মান ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টে তৃতীয় হওয়া দল পাবে ৬০ লাখ টাকা, চতুর্থ দল ৪০ লাখ।

এবারের বিপিএলে এলিমিনেটর থেকে বাদ পড়েছে রংপুর রাইডার্স আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে খুলনা টাইগার্স। সে হিসাবে রংপুর চতুর্থ ও খুলনার তৃতীয় দল হওয়ার কথা।

বিপিএলে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় পাবেন ১০ লাখ টাকা, গত দুই মৌসুমেও ১০ লাখই দেওয়া হয়েছে। ফাইনাল সেরা, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক পাবেন ৫ লাখ টাকা করে। আর সেরা ফিল্ডার পাবেন ৩ লাখ টাকা। এবার যুক্ত হওয়া উদীয়মান ক্রিকেটার পাবেন ৩ লাখ টাকা।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার ১৫ জনের দলের ৪ জনই ছিটকে গেলেন৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার

দেশের প্রতি চারজনের একজন মানুষ এখনো বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশের জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন জিইডির সদস্য (সচিব) মনজুর হোসেন। আলোচক ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিবিএসের ২০১৯ সালের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএস) তথ্য ব্যবহার করে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) নিরূপণ করা হয়েছে।  বহুমাত্রিক দারিদ্র্য হলো দারিদ্র্য পরিমাপের একটি বিস্তৃত পদ্ধতি, যা শুধু আয় বা ভোগের মতো একক মাত্রার বাইরে গিয়ে দারিদ্র্যকে তার বিভিন্ন দিক থেকে বুঝতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের এ সূচকে তিনটি মাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাতে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই মাত্রাগুলোকে ১১টি আলাদা সূচকে ভাগ করা হয়েছে। যেমন জীবনযাত্রার মানের মধ্যে রয়েছে—বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, খাওয়ার পানি, বাসস্থান, রান্নার জ্বালানি, সম্পদ এবং ইন্টারনেট সংযোগ।

এমপিআই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে রয়েছে, যা সংখ্যায় প্রায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, আর শহরে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগে এই দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ, ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। জেলাগুলো হলো—বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এ হার ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

প্রধান অতিথি আনিসুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে এমপিআই-কে দারিদ্র্য দূরীকরণের একটি নতুন ও উদ্ভাবনী কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই পদ্ধতি সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। তিনি এ সূচককে নীতিনির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এ ছাড়া কিছু জেলায় দারিদ্র্যের হার বেশি হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে আরও গবেষণা করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এমপিআই ব্যবস্থাটি আয়ভিত্তিক দারিদ্র্য মাপকাঠিকে সম্পূরকভাবে সহায়তা করবে এবং এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেবে। সভাপতির বক্তব্যে মনজুর হোসেন জানান, জিইডি ভবিষ্যতেও নিয়মিত এই সূচক প্রকাশ করবে এবং নীতিনির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ