সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
Published: 7th, February 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় দুর্বৃত্তরা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এই দুটি হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো.
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শতাধিক কিশোর-তরুণ ও যুবক লাঠি নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনাপ্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের দ্বিতল বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ড্রইংরুমের সোফায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় একই সময় একই ব্যক্তিরা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ওরফে ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, হামলাকারীদের মধ্যে বেশকিছুর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে উভয় বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বাড়িতে পাহারাদার যিনি ছিলেন, তিনি ভয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, সাবেক সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে তার ছোট ভাই জাবেদ এর দ্বিতল বাড়িতে একদল লোক রাত ৮টার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই ভবনে কেউ ছিলেন না। হামলাকারীরা ওই সময় নিচ তলার সোফার আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়রের বাড়িতেও কিছুটা হামলা-ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে বাড়ির ভেতরে কেউ ঢুকতে পারেনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁরা চৌমুহনী রেললাইন সড়ক থেকে মিছিল বের করেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল শিহাব নিজের ফেসবুকে ঝটিকা মিছিলটি লাইভ প্রচার করেন। পরে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করে।
ফেসবুকে প্রচার করা ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে পৌনে চারটার দিকে উপজেলার চৌমুহনী রেলস্টেশন এলাকা থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি রেললাইনের পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে রেলগেট হয়ে শহরের ব্যস্ততম ফেনী-চৌমুহনী মহাসড়কে ওঠে। মিছিলকারীদের হাতে ‘হটাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ লেখা ব্যানার ছিল। ২৫ থেকে ৩০ জন কিশোর ও তরুণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি মহাসড়কের প্রায় ২০০ গজ অতিক্রম করে শহরের হাসান সড়কের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।
জানতে চাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান লিটন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মিছিলকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি নিজেই অভিযানে ব্যস্ত আছেন। এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাতটা) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবাই চিহ্নিত। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।