চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ঘিরে যা যা ঘটল
Published: 8th, February 2025 GMT
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ’ শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচি শুরু হয় বিকেল চারটার দিকে। সমাবেশের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্ররা। এ সময় হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজাও পড়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো ছাত্রদের ওপর হামলা করছে। ছয় মাস পরও আওয়ামী লীগের বিচারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। ছাত্র-জনতার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না। হাতিয়া, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়েছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ছাত্রদের এ কর্মসূচির সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। এ সময় তাঁর গাড়ি ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে রাস্তায় আটকে যায়। যদিও এর আগেই তিনি হেঁটে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে গাড়িটি প্রেসক্লাবের সামনে আনা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”
তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”
“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”
তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”
সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।”
ঢাকা/ইভা