স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্বেগ ও শোক
Published: 8th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ফতুল্লা থানা শাখার যুগ্ন-আহবায়ক মামুন হোসাইনকে (৪১) কে গত শুক্রবার দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে এবং তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ফতুল্লা পূর্ব লালপুর(পাকিস্তানি খাদ) নিবাসী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ফতুল্লা থানা শাখার যুগ্ন-আহবায়ক মামুন হোসাইনকে অত্যান্ত নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা মনে করি তার এই হত্যাকান্ড সারা দেশকে অস্থির করে তোলার লক্ষ্যে জনরোষে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং নারায়নগঞ্জে ঘাপটি মেরে থাকা তার জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ।
মামুন হোসাইনের হত্যার ঘটনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী খুনী বাহিনী এখনো নীরব ঘাতক হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় সোচ্চার রয়েছে।
তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে বলতে চাই যে, আপনারা অতিদ্রুত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুনের হত্যাকারীদের খুজে বের করুন, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনুন।
ফ্যাসিবাদের দোসরদের এই জাতীয় ভয়ংকর কর্মকান্ডের মূল উপরে ফেলার জন্য জুলাই-আগস্ট গনহত্যার বিভিন্ন মামলার চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করুন। আমরা চাই, মামুনের মত আর কোনো তাজা প্রান যেনো ঝরে না যায়, আর কোনো পরিবার যেনো তাদের অবিভাবক অসময়ে না হারায়।
আমরা মামুন হোসাইনের মৃত্যুতে তার শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুবান্ধব সবার সাথে সহমর্মিতা জানাচ্ছি। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।