গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গুটিকয়েক ছাত্রনেতা নতুন দল গঠন করতে চান। তারা অন্যদের অবদানকে অস্বীকার করছেন, বিভাজন তৈরি করছেন। আমরা বিভাজন চাই না। আমাদের দলের সংগঠকরাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতিতে পেশিশক্তির সমর্থন চলবে না। 

শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের ঈদগা মাঠে দলীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নুরুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। হেলিকপ্টার থেকে ছাদের ওপর গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই, দুঃখবোধ নেই। এখনও পৈশাচিক উল্লাস করে। যে কারণে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের রাজনীতির তীর্থস্থান মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা রাজনৈতিক সহিংসতা হানাহনি সমর্থন করি না। 

গণঅধিকার পরিষদের পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চ পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, জেলা কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, সদস্য সচিব আকন্দ মোহাম্মদ উজ্জ্বল প্রমুখ। সমাবেশে জেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে আগামী নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নূর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা