গুটিকয়েক ছাত্রনেতা দল করে বিভাজনের চেষ্টা করছেন: নুরুল হক
Published: 8th, February 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গুটিকয়েক ছাত্রনেতা নতুন দল গঠন করতে চান। তারা অন্যদের অবদানকে অস্বীকার করছেন, বিভাজন তৈরি করছেন। আমরা বিভাজন চাই না। আমাদের দলের সংগঠকরাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতিতে পেশিশক্তির সমর্থন চলবে না।
শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের ঈদগা মাঠে দলীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। হেলিকপ্টার থেকে ছাদের ওপর গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই, দুঃখবোধ নেই। এখনও পৈশাচিক উল্লাস করে। যে কারণে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের রাজনীতির তীর্থস্থান মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা রাজনৈতিক সহিংসতা হানাহনি সমর্থন করি না।
গণঅধিকার পরিষদের পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চ পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, জেলা কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, সদস্য সচিব আকন্দ মোহাম্মদ উজ্জ্বল প্রমুখ। সমাবেশে জেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে আগামী নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নূর।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর আলোকে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। শুরুতে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা একটি অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। এই পরিবর্তনকে অর্থবহ করতে কেবল সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।’
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এই আলোচনা কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজপথে ও রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনের চাপে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন দমন-পীড়ন চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, সেটি আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার সত্বেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। ব্যক্তি দল গোষ্ঠীর চেয়ে জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রের স্বার্থকে আমরা যেন প্রাধান্য দেই এটিই আমাদের চাওয়া।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।