আ’লীগ নেতা এখন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি
Published: 9th, February 2025 GMT
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি শামীম মিয়াকে নিয়ে নেতাকর্মীর মধ্যে বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলছেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের এ নেতাকে সভাপতির পদ দিয়ে বিতর্কিত কমিটি করা হয়েছে। এতে দলের মির্জাপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা জড়িত।
অভিযোগ অস্বীকার করে কমিটির সদস্য সচিব ওয়াহেদুল বলেন, শামীম দলের দুর্দিনের সঙ্গী। কমিটিতে জায়গা না পেয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও পদে থাকার কথা এড়িয়ে যান শামীম মিয়া। তিনি বলেন, ‘তখন চাপের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তাদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করেছি। আমি বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
শামীম দলের লোকজনকে দুর্দিনে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রুবেল সাদীর। তিনি বলেন, এ জন্য হয়তো তাঁকে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আগেও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ ইউনিয়ন কমিটিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.                
      
				
এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রাব্বানীর। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ব এনপ র কম ট র উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুর-৩: জাতীয় পার্টির আসন দখলে নিতে প্রচারণা শুরু বিএনপির
কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন রংপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কব্জায় থাকা এ আসনটি দখলে নিতে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
রংপুর-৩ আসনটি মূলত নগরীর কোতোয়ালি, সদর ও সিটি করপোরেশনের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। প্রায় চার লাখের বেশি ভোটারের এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। এই আসনে সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন জি এম কাদের।
আরো পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
কিশোরগঞ্জ-৪, নতুন করে আলোচনায় ফজলুর রহমান
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী কেরামতিয়া মসজিদে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নামাজ পড়েন সামু। এরপর কেরাম মতিয়া এলাকা, কোর্ট চত্বর ও নগরীর সিটি বাজার এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
সামু বলেন, “জনগণ এবার পরিবর্তন চায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে নামছি। বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত হবে।”
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সামসুজ্জামান সামুর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা জানান, স্থানীয় নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতীয় পার্টির এই ঘাঁটিতে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হতে পারবে।
রংপুর-৩ আসনটিতে সামসুজ্জামান সামুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই) প্রার্থী ও দলটির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল। আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন নয়ন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ