হামজাকে রেখে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
Published: 9th, February 2025 GMT
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ রয়েছে ‘সি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং। আগামী ২৫ মার্চ থেকে শুরু হবে বাছাইপর্বের খেলা। তার আগে আজ রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য ৩৮ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
প্রত্যাশিতভাবে দলে জায়গা পেয়েছেন লেস্টার সিটির (বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেড) বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এছাড়াও আরেকজন প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন। তার নাম ফাহমেদুল ইসলাম। যিনি ইতালির একটি ক্লাবে খেলেন।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ১০ জুন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে দ্বিতীয় ম্যাচে। ০৯ অক্টোবর ঘরের মাঠে হংকংকে আতিথ্য দিবে বাংলাদেশ। আর ১৪ অক্টোবর যাবে হংকংয়ের মাঠে খেলতে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৮ নভেম্বর পঞ্চম ম্যাচে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ও ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ ষষ্ঠ তথা বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলবে হামজা-ফাহিমরা।
আরো পড়ুন:
বাটলারের আগ্রহ নেই বিদ্রোহীদের নিয়ে
নারী ফুটবলাররা বাটলারকে কোচ হিসেবে না চাওয়ার যত কারণ
বাংলাদেশের প্রাথমিক দল:
গোলরক্ষক:
মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবন, আনিসুর রহমান জিকো ও সাকিব আল হাসান।
ডিফেন্ডার:
হাসান মুরাদ, শাকিল আহাদ তপু, মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, মোহাম্মদ শাকিল হোসেন, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, সুশান্ত ত্রিপুরা, ইয়াসিন খান ও জাহিদ হোসেন শান্ত।
মিডফিল্ডার:
মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম, পাপন সিংহ, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, চন্দন রায়, মজিবর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া ও হামজা চৌধুরী।
ফরোয়ার্ড:
রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাব্বি হোসেন রাহুল, শাহরিয়ার ইমন, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফ হোসেন, আল আমিন, পিয়াস আহমেদ নোভা ও ফাহমেদুল ইসলাম (ইতালি প্রবাসী)।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
তাবিথের স্বপ্ন ও বাস্তবতা
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পর নিজেদের সাফল্য ও ত্রুটিগুলো তুলে ধরেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং তাঁর কমিটির সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর একটি ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মতবিনিময় সভায় মন খুলে কথা বলেছেন তাবিথ। চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো–
বাজেট বরাদ্দ ও ট্যাক্স কমানো: বাজেটে ২ হাজার কোটির মধ্যে ৯০০ কোটি চলে যায় বেতন, মেইনটেন্যান্স, অপারেশনাল ও অন্যান্য বিষয়ে। বাকিটা উন্নয়নমূলক কাজে লাগে। অনেক কাঠামো পুরোনো, অকেজো। এখানে সংস্কারকাজ করে আর কতদিন। ক্রীড়া পণ্যের ক্ষেত্রে ৩৬ শতাংশ ট্যাক্স, এটা যেন বিবেচনা করা হয় এবং মওকুফ করা বা কমানো হয়। ভারতে এ ট্যাক্স মাত্র ১২ শতাংশ।
বাফুফে থেকে সরকারের কাছে সর্বশেষ ৩০ কোটি টাকার বাজেট চাওয়া হয়েছিল। এ কমিটি আসার পর আমরা তার কোনো পরিবর্তন করিনি। আমরা চেষ্টা করছি ৩০-৪০ কোটি বাজেটের কতটুকু আমরা নিজেরাই অর্জন করতে পারি বিভিন্ন স্পন্সরের মাধ্যমে, টিকিট থেকে আয়ের মাধ্যমে এবং ফিফা-এএফসির ডোনেশেনের মাধ্যমে। যে ব্যালান্সটা আমাদের দরকার পড়বে, সেটা আমরা সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ে নিব। আমি মনে করি ক্রীড়া সামগ্রীর ক্ষেত্রে যদি ট্যাক্স ১০ শতাংশ করা যায়, সেটা হবে সবচেয়ে ভালো।
অফ সিজনে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট: আমরা লিগের ব্যাপারে অনেক চিন্তাভাবনা করে রাখছি। পরবর্তী ২০২৫-২৬ যে লিগটা শুরু হতে যাচ্ছে, সেখানে অনেক বেটার কোয়ালিটি আসবে। ইতোমধ্যে এএফসিতে আবাহনী ও বসুন্ধরা খেলার অনুমতি পেয়েছে। বাকি যে ক্লাবগুলো আছে, তাদের যেন এএফসি লাইসেন্সিং হয়, সেই ব্যাপারেও কাজ করব। আমাদের ক্লাবগুলো যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে যাবে, তখন লোকাল লিগগুলোও আন্তর্জাতিক মানের হবে। তার পাশাপাশি অফ সিজনে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট, কিছু অন্য দেশের প্রীতি ম্যাচ খেলা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছি।
স্ট্রাইকার হান্ট প্রজেক্ট: আমরা যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই ভালো মানের স্ট্রাইকার বেরিয়ে আসবে। ফিনিশারদের জন্য আমরা গভীরভাবে দেখছি। আমরা একটা সফটওয়্যার ও জিপিএস ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছি। প্রতিটি ক্লাবের ফুটবলারকে আমরা অ্যানালাইস করব তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে। কিছু কিছু খেলোয়াড়কে টার্গেট করে ওদের ক্লাবদেরকে প্রতিনিয়ত এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্যগুলো শেয়ার করতে বলব যেন কোচরা ওই প্লেয়ারের সঙ্গে আরেকটু বিশেষভাবে কাজ করতে পারে। স্ট্রাইকারদের ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট– দুটোই লাগবে। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে দেখবেন আমাদের ফরোয়ার্ড লাইনে ব্যাপক আকারে উন্নতি হবে।
ক্যাবরেরায় তাড়াহুড়া নেই: বাফুফের ‘মিট দ্য প্রেসে’ নির্বাহী কমিটির সদস্যের মধ্যে সর্বশেষ বক্তব্য দিতে গিয়ে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে সবাইকে অবাক করে দেন শাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া শাহিন। তাঁর মন্তব্যের পরই ক্যাবরেরাকে নিয়ে অনেকবারই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে তাবিথ আউয়ালকে। সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনি, ‘কোচ নিয়ে প্রশ্নগুলো খুব প্রিম্যাচিউর। আমার মন্তব্য করাটাও প্রিম্যাচিউর। যখন আমরা নিয়মিত রিভিউ অ্যাসেসমেন্ট শেষ করব, ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নগুলো আসতে পারে। তার পরে আপনাদের প্রশ্ন নেওয়া যাবে এবং উত্তরও দেওয়া যাবে।’