যাত্রা শুরু করছে নতুন ই-কমার্স ‘কার্টআপ.কম’
Published: 11th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের অনলাইন শপিং এক্সপেরিয়েন্সে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে ই-কমার্স সাইট কার্টআপ (cartup.com)। এটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ব্যবসায়িক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে দেশের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি করা হয়েছে। এতে অনলাইন শপিংকে আরো সহজ করতে সাশ্রয়ী মূল্য, অথেনটিক পণ্য ও দ্রুততম সময়ে ডেলিভারিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
কার্টআপ অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজেই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পণ্য অর্ডার করা যাবে। নিজস্ব বিস্তৃত লজিস্টিক নেটওয়ার্কের সাহায্যে ডেলিভারি হবে নিরাপদ ও দ্রুততম সময়ে। ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, গ্রোসারি, কসমেটিকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি পণ্য থাকছে প্ল্যাটফর্মটিতে। বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডসসহ প্রায় ২ হাজারের বেশি ভেরিফায়েড সেলাররা কার্টআপের সঙ্গে এরইমধ্যে যুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও, উন্নত কাস্টমার সার্ভিস বজায় রাখতে ৭ দিনের রিটার্ন পলিসি ও প্রফেশনাল কাস্টমার সাপোর্টও থাকছে।
কার্টআপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফুয়াদ আরেফিন বলেন, কার্টআপ এমন একটি মার্কেটপ্লেস হবে যেটি গ্রাহকের বিশ্বাস, দক্ষতা এবং সন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাবে।
তিনি আরো যোগ করেন, আমরা বাংলাদেশে ই-কমার্সের জন্য একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্ল্যাটফর্ম গ্রাহক ও বিক্রেতা উভয়ের প্রত্যাশা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা একটি উন্নত অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
কার্টআপ লিমিটেড ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ‘কার্টআপ কার্নিভাল’ লঞ্চ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে ক্রেতারা বিভিন্ন পণ্যে এক্সাইটিং ডিসকাউন্ট, ফ্ল্যাশ সেল, ফ্রি ডেলিভারি, ম্যাজিক ভাউচার, ক্যাশব্যাক অফার উপভোগ করতে পারবেন। আপডেট পেতে গ্রাহকদের কার্টআপ মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে এবং ব্র্যান্ডটির সোশ্যাল মিডিয়া পেজে চোখ রাখতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিল র্যাব, চায় সাইবার ইউনিট
অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। অভিনব কৌশলে সক্রিয় সাইবার অপরাধীরা। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলা করা নতুন চ্যালেঞ্জ। এ জন্য স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট চেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল বুধবার কর্মপরিকল্পনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। সেখানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাবসহ একাধিক ইউনিট একুশ শতকের জটিল অপরাধ ও তা নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির বিষয়টি সামনে আনে। গতকাল পুলিশের যে ইউনিটগুলো পরিকল্পনা তুলে ধরেছে, তা হলো হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নৌ পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), শিল্প পুলিশ, র্যাব, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ ও সিআইডি।
কীভাবে প্রত্যন্ত এলাকার ভুক্তভোগী র্যাবের সহযোগিতা পেতে পারেন, সে বিষয়টি উপস্থাপন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি দ্রুত গুজব প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। র্যাবের জন্য আলাদা একটি সাইবার ইউনিটের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। র্যাব জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজি বলেন, ‘কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবাধিকার বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ র্যাব। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তদন্ত সেলকে শক্তিশালী করা হয়েছে। একটি মানবাধিকার সেলও গঠন করা হয়েছে।’
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের মতে, র্যাব ডিজির উপস্থাপনায় মূলত বাহিনীর অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিআইডি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়। সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি (ভারপ্রাপ্ত) গাজী জসীম অনুষ্ঠানে জানান, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী মামলার অনুসন্ধানে সিআইডি বিশেষ টিম গঠন করেছে। সাবেক মন্ত্রী, প্রভাবশালীদের সন্দেহজনক সম্পদের উৎস ও প্রকৃতি নিয়ে নিবিড়ভাবে চলছে তদন্ত। এস আলম, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, নাবিল, ইউনিক, সিকদার গ্রুপসহ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ সময় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ জমি ও হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের একটি মামলায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডির উপস্থাপনায় আরও বলা হয়, ফরেনসিক শাখা দিন দিন অপরাধ বিশ্লেষণের নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জনবল, সরঞ্জাম এবং অর্থের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি সিআইডিতে আছে কাঠামোগত ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ। কোনো জেলা ইউনিটে একটিও অপারেশনাল যানবাহন নেই। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অনিয়মিত বদলি আতঙ্ক রয়েছে। সাইবার পুলিশ সেন্টারে রয়েছে সরঞ্জামের অভাব। ফরেনসিক ল্যাবে সফটওয়্যারের জন্য বাজেট-স্বল্পতার কথা তুলে ধরেন তারা।
হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়। মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কের সিসিটিভি থেকে হাইওয়ে পুলিশ ডিজিটাল অটো ফাইন সিস্টেম, ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ক্লোন নাম্বারপ্লেট শনাক্ত, হাইস্পিড ডিটেকশন করে থাকে।
এর আগে মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে তাদের কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে ডিটেনশনে (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনা বিচারে আটক রাখা) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ডিটেনশনে নেওয়া উচিত। সরকারের অনুমতি পেলে এসবির পক্ষ থেকে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিস্তারিত জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। ডিটেনশনে নেওয়ার জন্য যাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তাদের কেউ কেউ পেশাদার অপরাধী।