পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ভেড়েন কৃষক লীগে, ৩ বছর পর একদিনে জন্য হন কৃষক দল আহ্বায়ক
Published: 11th, February 2025 GMT
নড়াইলে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হাসান বাবুলের সই করা বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জেলা কৃষক দলের নতুন আহ্বায়ক হিমায়েত হুসাইন ফারুকের বিরুদ্ধে কৃষক লীগের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার নড়াইল জেলা কৃষক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইন ফারুককে আহ্বায়ক, শোয়েব মিনাকে সদস্য সচিব ও ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম রুবেলকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, গত পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা জানান ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক ফারুক। সেই ছবিতে উপরের দিকে শেখ মুজিবুর রহমান ও সজীব ওয়াজেদ জয়, ডানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তির ছবি রয়েছে। ভাইরাল হওয়া আর একটি ছবিতে কৃষক লীগের ব্যানারে মিটিং করতে দেখা যায় হিমায়েত হুসাইন ফারুকে। সেই মিটিংয়ে বেশ কয়েক জন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব এনামুল কবীর চন্দন বলেন, বাতিল হওয়া কমিটির আহ্বায়ক হিমায়েত হুসাইন ফারুক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। বিষয়টি জানতে পেরে কমিটি বাতিল হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তির আর্শীবাদে ফারুক বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাকে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক করায় আমরা হতাশ হয়েছিলাম। আগামীতে কমিটি করার সময় ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে হিমায়েত হুসাইন ফারুকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হিমায়েত হুসাইন ফারুক আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা প্রমাণিত হওয়ায় কমিটি স্থগিত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কম ট হ ম য় ত হ স ইন ফ র ক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সংকট
রাজধানী ঢাকার একটি ঘনবসতিপূর্ণ শনির আখড়ায় গ্যাস সংকট এখন নিয়মিত ভোগান্তির নাম। ভোর থেকে দুপুর—কখনো কখনো পুরো দিন গ্যাসের দেখা মেলে না। এর ফলে রান্না, দৈনন্দিন জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা যারা সকালবেলা অফিস, স্কুল বা কলেজে যাবার আগে তড়িঘড়ি করে রান্না সেরে বের হওয়ার চেষ্টা করি, তাদের জন্য গ্যাস না থাকা মানেই বিশৃঙ্খল একটি দিন। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম, অন্যদিকে গ্যাস না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে বাড়তি খরচ। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গৃহিণী ও কর্মজীবী নারীরা।
সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, আমরা নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করেও সে অনুযায়ী সেবা পাচ্ছি না। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দিনের পর দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। কবে আসবে, কখন বন্ধ থাকবে—এমন কোনো সময়সূচিও জানানো হয় না। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও পাওয়া যায় না সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা সমাধানের আশ্বাস।
গ্যাস না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারে ঝুঁকছেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ব্যয় বহনের কারণে এটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কোনো টেকসই সমাধান নয়। বারবার সিলিন্ডার ভরানো এবং নিয়মিত হারে খরচ চালানো এই শ্রেণির জন্য প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি থাকলে তা আগেভাগে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে, যাতে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারে। মাসিক বিলের বিপরীতে ন্যায্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি এলাকার জন্য সমস্যা নিরসনে হটলাইন চালু করতে হবে, যেখানে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানানো সম্ভব হবে।
নুসরাত অপর্ণা
শনিরআখড়া, ঢাকা