বন্দরে শ্রমিক দল নেতার ব্যানার, ফেস্টুন ভাংচুর করলো আওয়ামীলীগ নেতা
Published: 11th, February 2025 GMT
বন্দরে আওয়ামীলীগের নামধারী নেতার বিরুদ্ধে শ্রমিক দল নেতার ব্যানার ও ফেস্টুন ভাংচুরসহ প্রাননাশের হুমকি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রমিক দল নেতা মোঃ ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের নয়ামাটি ও মালামত এলাকায় এ ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর শ্রমিক দলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
ফ্যাসিবাদ সরকার শাসন আমল থেকে শ্রমিক দলের নেতা ইসলাম মিয়ার সাথে একই এলাকার মৃত মানিক মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আসলামের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। আসলাম আওয়ামী সরকার আমলে উল্লেখিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল।
শ্রমিকদল নেতা ইসলাম মিয়া গত ২ ফেব্রুয়ারী বিকেলে বন্দর উপজেলার নয়ামাটি ও মালামত এলাকায় বিএনপি বেশ কয়েকটি ব্যানার লাগায় । পরবর্তীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় সন্ত্রাসী আসলামসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন দুষ্কৃতিকারী উল্লেখিত ব্যানার গুলো ছিড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
খবর পেয়ে শ্রমিক দল নেতা ইসলামসহ তার দলীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় দুষ্কৃতকারীরা উল্লেখিত শ্রমিক দলের নেতা ও তার পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুরের ঘটনার ৮ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সংকট
রাজধানী ঢাকার একটি ঘনবসতিপূর্ণ শনির আখড়ায় গ্যাস সংকট এখন নিয়মিত ভোগান্তির নাম। ভোর থেকে দুপুর—কখনো কখনো পুরো দিন গ্যাসের দেখা মেলে না। এর ফলে রান্না, দৈনন্দিন জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা যারা সকালবেলা অফিস, স্কুল বা কলেজে যাবার আগে তড়িঘড়ি করে রান্না সেরে বের হওয়ার চেষ্টা করি, তাদের জন্য গ্যাস না থাকা মানেই বিশৃঙ্খল একটি দিন। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম, অন্যদিকে গ্যাস না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে বাড়তি খরচ। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গৃহিণী ও কর্মজীবী নারীরা।
সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, আমরা নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করেও সে অনুযায়ী সেবা পাচ্ছি না। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দিনের পর দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। কবে আসবে, কখন বন্ধ থাকবে—এমন কোনো সময়সূচিও জানানো হয় না। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও পাওয়া যায় না সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা সমাধানের আশ্বাস।
গ্যাস না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারে ঝুঁকছেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ব্যয় বহনের কারণে এটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কোনো টেকসই সমাধান নয়। বারবার সিলিন্ডার ভরানো এবং নিয়মিত হারে খরচ চালানো এই শ্রেণির জন্য প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি থাকলে তা আগেভাগে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে, যাতে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারে। মাসিক বিলের বিপরীতে ন্যায্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি এলাকার জন্য সমস্যা নিরসনে হটলাইন চালু করতে হবে, যেখানে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানানো সম্ভব হবে।
নুসরাত অপর্ণা
শনিরআখড়া, ঢাকা