বন্দরে আওয়ামীলীগের নামধারী নেতার বিরুদ্ধে শ্রমিক দল নেতার ব্যানার ও ফেস্টুন ভাংচুরসহ প্রাননাশের হুমকি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রমিক দল নেতা মোঃ ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের নয়ামাটি ও মালামত এলাকায় এ ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর শ্রমিক দলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

ফ্যাসিবাদ সরকার শাসন আমল থেকে শ্রমিক দলের নেতা ইসলাম মিয়ার সাথে একই এলাকার মৃত মানিক মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আসলামের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। আসলাম আওয়ামী সরকার আমলে উল্লেখিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে  আসছিল।

শ্রমিকদল নেতা ইসলাম মিয়া  গত ২ ফেব্রুয়ারী  বিকেলে  বন্দর উপজেলার  নয়ামাটি ও মালামত এলাকায় বিএনপি বেশ কয়েকটি ব্যানার লাগায় । পরবর্তীতে গত ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায়  সন্ত্রাসী আসলামসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন দুষ্কৃতিকারী উল্লেখিত ব্যানার গুলো ছিড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।

খবর পেয়ে শ্রমিক দল নেতা ইসলামসহ তার  দলীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময়  দুষ্কৃতকারীরা উল্লেখিত শ্রমিক দলের নেতা ও তার পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুরের ঘটনার ৮ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ