Samakal:
2025-09-17@23:34:46 GMT

ওই রকম জীবন কখনও দেখিনি: মিথিলা

Published: 13th, February 2025 GMT

ওই রকম জীবন কখনও দেখিনি: মিথিলা

দিন পেরোলেই ভালোবাসা দিবস। এমন দিনকে কেন্দ্র করে নির্মিত নাটকে অতিপরিচিত মুখ ছিলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সেই মিথিলা এখন নাটকে নেই। সঙ্গে থাকছেন প্রাক্তন তাহসান খান। তাদের রোমান্টিক নাটক দর্শকরা দেখতেন। ভাবতেন কী সুন্দর জুটি! পর্দার এ জুটি যে বাস্তবেরও জুটি তা মনে করতেই তৃপ্ত হতেন।

আজ দু’জনের পথ দুই দিকে। একে অপরের প্রাক্তন। দু’জনই সংসার বেঁধেছেন অন্য কারও সঙ্গে। মিথিলা কলকাতার সৃজিতের গলায় দিয়েছেন মালা আর তাহসান মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে করছেন সংসার। এখনও তাহসানকে দেখলে মিথিলাকে ভাবেন দর্শক, মিথিলা থাকলেও চর্চায় আসেন তাহসান। পথ আলাদা হওয়ার কয়েক বছরও সে প্রমাণ মিলল।

সম্প্রতি একটি আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন মিথিলা। সেখানে তাঁকে পেয়েই সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছোড়েন প্রাক্তনের বিয়ে নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে মিথিলা এতদিন চুপ থাকলেও এবার আর চুপ থাকলেন না।  প্রশ্ন করা হলো প্রাক্তনের বিয়ে নিয়ে মিথিলার কিছু বলার আছে কিনা। অভিনেত্রী বললেন, ‘বিয়ে নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই। এটি নিয়ে কথা বলতেও চাই না; যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। এটি আমারও কোনো ব্যক্তিগত বিষয় না, যে আমি কথা বলব। যার জীবনের ঘটনা, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে আমার কিছুই বলার থাকতে পারে না।’

ব্যক্তিচর্চার কথা এবার থাক। মিথিলার কাজের প্রসঙ্গে আসি। কলকাতার বধূ এখন তিনি। তাই দেশে সংসার কাজ সামলিয়ে সেখানেও বছরের অনেকটা সময় থাকতে হয়। থাকতে হয় কাজ নিয়েও। কয়েক বছর আগে কলকাতায় মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত ‘মায়া’। এই ছবি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় অভিষেক হয় বাংলাদেশি অভিনেত্রীর। এরপর একের পর এক কলকাতার ছবিতে থাকছেন তিনি। থাকছেন ওটিটিতেও। দেশের ওটিটিতেও তাঁর মুখরতা কম নয়। চাকরি আর সন্তান সামলিয়ে মিথিলা এখনও দারুণ ব্যস্ত অভিনয়ে। 

আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে এ অভিনেত্রীর সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। এতে মিথিলার বিপরীতে আছেন এফ এস নাঈম। এর আগে নাটক-সিনেমায় নাঈমের সঙ্গে দেখা গেলেও সিনেমায় এবারই প্রথম।

অভিনেত্রী বলেন, ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমায় মিথিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নাঈম। অভিনয়ের বাইরেও বাস্তব জীবনে তারা কলেজফ্রেন্ড। বন্ধু সম্পর্কে মিথিলা বলেন, নাঈম এ সিনেমায় মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাঈম আমার কলেজজীবনের বন্ধু। ওর সঙ্গে নাটকে অভিনয় করেছি। সিনেমায় দু’জনে প্রথম কাজ করলাম। আমাদের পরিচয় বহু বছর আগে থেকে। নাঈম গোছানো মানুষ। কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। নাঈম একজন ভালো মানুষ, সিরিয়াস টাইপের মানুষ।

নিজের চরিত্রটি সম্পর্কে জানিয়ে মিথিলা বললেন, সিনেমার চরিত্রে আমি নদীপারের মেয়ে। নদীর পারে সার্কাস দেখাই, যার কিছুই নেই। একেবারেই অন্যরকম গল্প। ভিন্ন একটি চরিত্র। এমন গল্পে ও চরিত্রে আগে কখনও আমাকে দেখা যায়নি। শুটিং করেছি কালীগঙ্গা নদীর পারে। নদীতেও দৃশ্য ছিল আমার। নৌকায় করে সেসব দৃশ্যের কাজ হয়েছে। 

সিনেমায় দেখা যাবে ‘তারা’ নামের মেয়েটি সার্কাসে কাজ করে। নারীকেন্দ্রিক গল্প। তা এমন চরিত্রটি করতে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কেননা, নৌকার দৃশ্যগুলো সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক দিন ধরে শুটিং করেছি। রোদের মধ্যে শুটিং করতে কষ্ট হয়েছে। তারপরও শিল্পের প্রয়োজনে কাজ করেছি। তারা চরিত্রটি নিজের ভেতরে ধারণ করাটাও কঠিন ছিল। ওই রকম জীবন কখনও দেখিনি। সেটিই পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কাজ করতে হয়েছে।’

সিনেমাটিতে মিথিলার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মায়ের চরিত্রে মুনিরা মিঠু। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম ও শাহেদ আলী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর কর ছ ন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান