আগামী শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের ছবি ‘ছাবা’। ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর নির্ভর করে বানানো ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র  এটি। ভিকি কৌশল ও অক্ষয় খান্না অভিনীত সিনেমাটির অ্যাডভান্স বুকিং শুরু হয়েছে। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ২ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে সিনেমাটির। 

বাণিজ্য ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

ফলে ভারতে এখনও পর্যন্ত সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগেই ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আয় করে ফেলেছে। ব্লক সিটের হিসাবে আয় ছাড়িয়েছে ৭ কোটি। এখনও হাতে ২ দিন আছে, ফলে অ্যাডভান্স বুকিংয়েই যে ‘ছাবা’ বড়সড় আয় করতে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, ১৫ থেকে ১৮ কোটি টাকা প্রথমদিন আয় করতে পারে ছাবা।

ছাবা’র জন্য নিজেকে নতুন করে গড়েছেন অভিনেতা ভিকি কৌশল। ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ভিকি নিজের ওজন ১০০ কেজি করেছিলেন। শিখেছিলেন লাঠি খেলা। বাদ যায়নি ঘোড়া চালানোও।

ছাবা’র ট্রেলারে ভিকি নজর কেড়েছেন সবার। আর স্বাভাবিক ভাবেই তার কারণেই এই সিনেমা নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে। ‘ছাবা’ পরিচালনা করেছেন লক্ষ্মণ উটেকর। প্রযোজনা করেছেন দীনেশ বিজন।

ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে দেখা যাবে ভিকি কৌশলকে। তার স্ত্রীর চরিত্রে থাকবেন রাশমিকা মান্দানা। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্রে দেখা মিলবে অক্ষয় খান্নার।    

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ