বৌভাতের খাবারে মাংস কম থাকায় সংঘর্ষ, আহত ৬
Published: 14th, February 2025 GMT
বগুড়ার ধুনটে বৌভাতের খাবারে মাংস কম থাকা এবং খাওয়া শেষ হওয়ার আগে দই দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সবাই কনেপক্ষের লোকজন।
আহতরা হলেন- জেলার কাহালু উপজেলার জামগ্রামের সুলতানা খাতুন (৩০), আবু হোসাইন (২৬), সুমন মিয়া (২৫), মানতাসা খাতুন (২৪), শাহজাহান আলী (৪৫) ও এলিনা খাতুন (৪২)।
এর মধ্যে, সুলতানা ও আবু হোসাইনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরঘাট গ্রামের অশ্লীলের ছেলে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে কাহালু উপজেলার শান্তা গ্রামের শহিদুল প্রামাণিকের মেয়ে শর্মিলা খাতুনের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার কনেপক্ষের লোকজন ছেলের বাড়িতে আসেন। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে কনেপক্ষের লোকজন খাবারে মাংস কম থাকা ও খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই দই দেয়ায় অভিযোগ তুলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।