পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগে আগুনে পুড়ে গেছে টিনের তৈরি পাঁচ থেকে ছয়টি ঘর। এ ছাড়া পুড়ে গেছে আরও আট থেকে দশটি দোকান। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

লালবাগ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজারের ইসলামবাগে আগুন লেগে টিনের তৈরি পাঁচ থেকে ছয়টি বাড়ি পুড়ে গেছে। আরও পুড়ে গেছে সেখানকার কয়েকটি দোকান। তবে আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।

পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী ইসলামবাগের টিনের তৈরি বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। আরও রয়েছে সারি সারি দোকানপাট। এসব দোকানে প্লাস্টিক দ্রব্যাদির প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল বললেন, আজ শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বেশির ভাগ কারখানা বন্ধ ছিল। তবে কেন এবং কীভাবে আগুন লেগেছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজারের কামালবাগে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ এলাকায় টিনের তৈরি বাড়িঘরসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের কারখানা রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চকব জ র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ

রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্ম অবমাননাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার দুই দিন পরও মামলা হয়নি, প্রশাসনের উদ্যোগে বসতবাড়ি মেরামত২২ ঘণ্টা আগে

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলদাদপুর গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত। এটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সীমানা লাগোয়া। গঙ্গাচড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার গ্রামটির এক কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি পোস্ট করেছে, এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানায় আনা হয়। সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে পরদিন রোববার দুপুরে ওই কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনগঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, বিচার দাবি১৪ ঘণ্টা আগে

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর তার বিচারের দাবিতে মিছিলসহ উত্তেজিত লোকজন শনিবার তার বাড়ির সামনে যায়। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয়বার আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক২৯ জুলাই ২০২৫

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত জনতা আবারও বাড়িঘরে হামলা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের হিসাবে, এ ঘটনায় ১৫টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার শিকার পরিবারগুলো আতঙ্কে, বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে২৮ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরে হামলার ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: পুলিশ