আগুনে চকবাজারে ১০ থেকে ১৫টি থেকে বসতবাড়ি, দোকানপাট পুড়ে ছাই
Published: 15th, February 2025 GMT
পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগে আগুনে পুড়ে গেছে টিনের তৈরি পাঁচ থেকে ছয়টি ঘর। এ ছাড়া পুড়ে গেছে আরও আট থেকে দশটি দোকান। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
লালবাগ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজারের ইসলামবাগে আগুন লেগে টিনের তৈরি পাঁচ থেকে ছয়টি বাড়ি পুড়ে গেছে। আরও পুড়ে গেছে সেখানকার কয়েকটি দোকান। তবে আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী ইসলামবাগের টিনের তৈরি বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। আরও রয়েছে সারি সারি দোকানপাট। এসব দোকানে প্লাস্টিক দ্রব্যাদির প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রবিউল বললেন, আজ শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বেশির ভাগ কারখানা বন্ধ ছিল। তবে কেন এবং কীভাবে আগুন লেগেছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, চকবাজারের কামালবাগে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ এলাকায় টিনের তৈরি বাড়িঘরসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের কারখানা রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৈয়দপুরে লাশ সামনে রেখে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন, মানসিক আঘাতে মৃত্যুর অভিযোগ
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির লাশ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের আমজাদের মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ বসতবাড়িতে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি মোসলেম সরদারের (৬০) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ কারণে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।
অন্যদিকে মামলার বাদী বলেছেন, মোসলেম সরদারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলা বড় মিথ্যাচার। উল্টো বসতঘর পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে তাঁরা নিঃস্ব।
বাঙালীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মণপুর জোতদারপাড়ার মোসলেম সরদারের পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই তসলিম সরদার, ভাতিজা বাবলু সরদার, নাতি মেহেদী হাসান, গৃহবধূ মৌসুমী ও স্থানীয় জহুরুল শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মোসলেম সরদারের পরিবার ও বাছান জোতদার পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৪ ও ১৫ মে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসেন। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে একটা সমাধানে আসেন তাঁরা। কিন্তু ১৮ মে মৃত বাছান জোতদারের ছেলে আবদুল আজিজ ও তাঁর ভাইয়ের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আবদুল আজিজ বাদী হয়ে মোসলেম সরদারসহ তাঁর পরিবারের ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযোগটি একতরফা তদন্ত করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। এতে মোসলেম সরদার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তিনি তিন দিন আগে হার্ট অ্যাটাক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং গতকাল সকালে মারা যান।
এ বিষয়ে আবদুল আজিজ জোতদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা সত্য না মিথ্যা, তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে। আর কারও স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলাই তো বড় মিথ্যাচার। আমাদের দুই পরিবারের ১০ জনকে পেট্রল ছিটিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমরা বেঁচে গেছি। এতে সর্বস্ব হারিয়ে আমরা নিঃস্ব। এর সঠিক বিচার চাই।’