Risingbd:
2025-04-30@19:46:52 GMT

দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা! 

Published: 16th, February 2025 GMT

দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা! 

রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আসলে হচ্ছেটা কী? এস্পানিওলের বিপক্ষে লা লিগা ম্যাচের পরই রিয়ালের পক্ষ থেকে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর লস ব্ল্যাঙ্কসরা আরও ৪টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে দুটি লা লিগায় এবং একটি করে কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে। প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু সিদ্ধান্ত মাদ্রিদের অভিজাতদের বিপক্ষে গিয়েছে। তবে রিয়াল সমর্থকদের দাবি- ওসাসুনার বিপক্ষে যা ঘটেছে তার ফুটবলীয় ব্যাখ্যা অন্তত নেই।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে লা লিগার ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। খুইয়েছে ২ পয়েন্ট। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রিয়ালের জুড বেলিংহ্যাম রেফারি মুনুয়েরা মন্তেরোকে কিছু একটা বলেন। এরপরই এই ইংরেজ মিডফিল্ডারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। সমস্যার শুরু এখানেই।

বেলিংহ্যাম যখন লাল কার্ড দেখেন, রিয়াল তখন ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। তবে পরে ১০ জনের দল নিয়ে রিয়াল বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেননি। লা লিগা পয়েন্ট তালিকায় ২৪ ম্যাচ শেষে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে এখনও শীর্ষস্থানে আনচেলত্তির দল। তবে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা সোমবার রাতে রায়ো ভায়াকানের বিপক্ষে জিতেলেই শীর্ষস্থান হারাবে রিয়াল।

আরো পড়ুন:

দশ জনের দল নিয়েও বার্সার বড় জয় 

বিতর্কিত পেনাল্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি দুই মাদ্রিদের: আড়ালে বার্সার হাসি

এদিকে স্প্যানিশ দৈনিক এএস এর ভাষ্য অনুযায়ী, খেলা শেষে রেফারি যে প্রতিবেদনে লিখেছেন- বেলিংহ্যাম তাকে ‘ফাক ইউ’ বলেছেন। তবে ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমকে বেলিংহাম স্পষ্ট বলেন, “আমি রেফারির প্রতি সম্মান রেখেই ‘ফাক অফ’ বলেছি।”

বেলিংহাম যা দাবি করছেন সে অনুযায়ী শব্দটি বিরক্তি প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। বাংলায় যার শাব্দিক অনুবাদ- বাদ দাও, দূর হও, কিংবা চুপচাপ চলে যাও। অন্যদিকে রেফারি যে শব্দটির কথা লিখেছেন, সেটি গালি বা অপমানসূচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে সারা পৃথিবীতে।

বেলিংহ্যামের দাবি, “আপনারা ঘটনার ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন আমি শুধু একটা ভাব প্রকাশ করেছি। একটা ভুল–বোঝাবুঝির কারণেই সমস্যা হয়েছে। আমি রেফারিকে  অপমান করিনি। রেফারিই ভুল করেছেন।”

ম্যাচের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল বস আনচেলত্তি বলেন, “আমার মনে হয় না রেফারি বেলিংহ্যামের ইং লিশ বুঝতে পারেননি। সে (বেলিংহ্যাম) ‘ফাক অফ’ বলেছে, ‘ফাক ইউ’ না।” 
এরপর এই ইতালিয়ান ম্যানেজার তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে বলেন, “(রেফারিং নিয়ে) একটা সমস্যা আছে। সর্বশেষ তিন ম্যাচেই আমাদের সঙ্গে এমন হয়েছে, যা হওয়া উচিত ছিল না।”

লা লিগার কর্তৃপক্ষ এবং রেফারিং নিয়ে মহা বিরক্ত হলেও আনচেলত্তি বেশি কিছু বললেন না। কারণ বেশি বলে ফেললে উল্টো ন্তাকে শাস্তির মুখোমুখি করবে তারা, “আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না। কারণ, পরের ম্যাচেও ডাগআউটে দাঁড়াতে চাই।”

এত কিছুর পরও কর্তৃপক্ষ যদি রেফারির রিপোর্টের ভিত্তি সবকিছু পর্যালোচ না ক্লরেন তাহলে কমপক্ষে ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হবে বেলিংহ্যামের, সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচ।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা