র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ব্যবহারে কম সময়েই ভবন নির্মাণ সম্ভব: প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির
Published: 16th, February 2025 GMT
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাড়ি নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাড়ি নির্মাণে উপযুক্ত জমি, বাড়ির ডিজাইন, নির্মাণ কৌশল ও ভালো সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন নীড় বিল্ডিং ডিজাইন অ্যান্ড কন্সট্রাকশনের প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির রবিন।
একটি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর নজর দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে প্রকৌশলী হুমায়ুন বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় আছে। সবচেয়ে প্রথম ভালো একজন ইঞ্জিনিয়ার বা অর্কিটেক্ট দিয়ে ডিজাইন করানো উচিত। তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মালিক বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে চান না। একটা বাড়ি করতে গেলে মোট জমির ৩৩ শতাংশ ছেড়ে দিতে হয়। তবে জমির মালিকরা এসে বলেন, কীভাবে পুরো জমিটা ব্যবহার করে তাকে বাড়ি করে দেওয়া যায়। বাড়ি নির্মাণে আমাদের সঠিক নীতি অনুসরণ করা উচিত। চারপাশে জায়গা ছেড়ে রাখলে ভবন যেমন সুন্দর হবে, পুরো পরিবেশটাও দেখতে সুন্দর হবে। আরেকটা দিক হলো- বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে খুব ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে, রড-সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী যেন খুব ভালো মানের হয়।
আমাদের দেশে অনেক কোম্পানির অনেক ধরনের সিমেন্ট আছে, এসবের মধ্যে কোনটা ভালো- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী হুমায়ুন বলেন, আমরা বাড়ির ডিজাইন করার সময় সিমেন্টের পিএসআই ৩০০ ধরে ডিজাইন করি। সম্প্রতি ঢালাই স্পেশাল নামে একটি সিমেন্ট বাজারে এসেছে। তাদের টেস্ট রিপোর্টগুলো দেখেছি। এই সিমেন্টটা র্যাপিড হার্ডেনিং টাইপের। কনক্রিট ঢালাইয়ের পর একটু সময় লাগে সিমেন্ট জমতে। তবে র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট খুব দ্রুত জমাট বাঁধে। আমরা সাধারণত কনক্রিট শাটারিং যেখানে ২১-১৮ দিনে রিমুভ করি সেখানে র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ব্যবহার করলে ১৪-১৫ দিনের মধ্যেই ডিশাটারিং করা যায়। এর ফলে ব্রিক ওয়ালের কাজ দ্রুত করা যায়। সহজভাবে বললে সাধারণ সিমেন্ট ব্যবহারে ১০ তলা ভবন নির্মাণে যে সময় লাগত সেখানে র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ব্যবহার করলে ৬ মাস সময় কম লাগবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভবন ন র ম ণ স ম ন ট ব যবহ র ভবন ন র ম ণ ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার সাহেববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গত ১৪ জুন কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভাসহ জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে গাজীপুর জেলা বিএনপি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। পরে শনিবার (১৪) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদার, সদস্য সচিব করা হয়েছে এম আনোয়ার হোসেনকে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মামুদ সরকার ও সদস্য সচিব করা হয়েছে মহসিন উজ্জামানকে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ গ্রুপ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন । আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার (১৪ জুন) রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর অনুসারীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পারভেজ গ্রুপের কর্মীরা।
একই দাবিতে রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পারভেজ আহমেদের পক্ষ নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময়ে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে আরেকটি মিছিল বের হলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, সকাল থেকে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হলেও এখনো পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল