‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাও’ স্লোগানে মুখরিত তিস্তার পাড়
Published: 17th, February 2025 GMT
তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতুর কাছে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু, ভোর থেকেই ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাও’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে তিস্তার পাড়। দলে দলে মানুষ ছুটে আসছে নদীপাড়ের জনতার মঞ্চের দিকে।
আয়োজকরা জানান, ২০০৪ সাল থেকে ভারত একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করায় উত্তরাঞ্চল মরুকরণের মুখে পড়েছে। অপরদিকে, ২৪০ বছরের পুরনো তিস্তা শাসন না করায় নদীর পেট ভরাট হয়ে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে ধূ-ধূ প্রান্তর আর বর্ষায় ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙনে এক লাখ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘‘পানি বণ্টন চুক্তি ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে তিন লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি।’’
ঢাকা/আমিরুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ বছর পরও অক্ষত মরদেহ!
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দাফনের প্রায় ২৫ বছর পর একটি মরদেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার দুপরে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় ফকিরের হাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার নির্মাণকাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে ফকিরেরহাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার একটি ভবন নির্মাণের করার জন্য মাদরাসার মাঠের মাটি ভেক্যু দিয়ে খনন করা হচ্ছিল। এ সময় খনন করা জায়গায় মাটি ভেঙে পড়লে সেখানে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশটি বের হয়ে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শে সেখান থেকে মরদেহটি তুলে নিয়ে ফকিরের হাট এলাকার মসজিদের পাশে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত ব্যক্তির নাম বাহের আলী। তিনি খারুয়ার পাড় গ্রামের আতিম শেখের ছেলে। আতিম শেখ ওই মাদরাসার জমিদাতা ছিলেন এবং তিনি ওই মাদরাসার কর্মরত ছিলেন। প্রায় ২৫ বছর আগে মারা গেলে মাদসার পেছনে তাকে দাফন করা হয়েছিল।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চিলমারী মডেল মসজিদের খতিব মামুনুর রশীদ বলেন, হাদিস ও নবী রাসূলদের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে জানা যায় যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও শহীদী মর্যাদা লাভ করেন তাদের লাশ অক্ষত অবস্থায় থাকে। তবে অক্ষত থাকলেই শতভাগ প্রিয় বান্দা হবে সেটিও নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন।