প্যাকেট চিনির কেজিতে দাম কমছে ৫ টাকা
Published: 19th, February 2025 GMT
প্যাকেট চিনির কেজিতে ৫ টাকা কমাচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন থেকে বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হবে ১২০ টাকা দরে। এতদিন এ দর ছিল ১২৫ টাকা। একই সঙ্গে খোলা চিনির দর কমে হচ্ছে ১১৮ টাকা।
বুধবার চিনি পরিশোধনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত চিনির দর কিছুটা কমে আসার কারণে স্থানীয় বাজারেও দর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে চিনির বাজারে শীর্ষ অবস্থানে মেঘনা ও সিটি গ্রুপ। মেঘনা গ্রুপ ইতোমধ্যে নতুন কম দরের চিনি বাজারজাত শুরু করেছে। সিটি গ্রুপও কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক তাসলিম শাহরিয়ার সমকালকে বলেন, গত সোমবার থেকে নতুন কম দরের প্যাকেট ছাপানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে সরবরাহ শুরু করেছি আমরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ রদর
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”
তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”
“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”
তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”
সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।”
ঢাকা/ইভা