সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদারকি টিম রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নানা অভিযোগে ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার ও মালিবাগ বাজারে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার ও মালিবাগ বাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার তদারকি টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস।

এ সময় নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল,ডাল, ডিম ও মুরগীর বাজারে তদারকি করা হয়। টিমের সদস্যগণ মূল্য তালিকা টাঙানোসহ পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ খতিয়ে দেখেন। মূল্য তালিকা সঠিকভাবে না টাঙানো ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করার পাশাপাশি পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো.

আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মালিবাগ বাজারে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ