একটি ট্রাকের ভেতরে বালুর নিচে কৌশলে লুকিয়ে আনা হচ্ছিল ভারত থেকে চোরাচালানে আসা ৩১৯ বস্তা চিনি। ‘বুঙ্গার চিনি’ হিসেবে পরিচিত এসব চিনি নেওয়া হচ্ছিল সিলেট শহরে। ট্রাকটি তল্লাশি করে এসব অবৈধ চিনি তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় জড়িত অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট মহানগরের শাহপরান থানার দাসপাড়া এলাকায় মুসলিম হাইস্কুলের পাশে মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সের সামনে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার শাহপরান থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার চমনাই গ্রামের মো.

হাবিবুর রহমান (২৭) ও জয়রামপুর গ্রামের জয় হোসেন (২২)।

পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহপরান (রহ.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল চন্দ্র সরকার ও তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা তল্লাশিচৌকিতে একটি ট্রাক থামান। এ সময় তাঁরা তল্লাশি চালিয়ে ট্রাকের ভেতরে বালুর নিচে লুকানো অবস্থায় ৩১৯ বস্তা ভারতীয় চিনি দেখতে পান। এসব বস্তায় ১৫ হাজার ৬১৩ কেজি চিনি ছিল, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পৌনে ১৯ লাখ টাকা।

এ সময় ট্রাকটির চালক ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, চিনি পাচারের সঙ্গে আরও একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জড়িত আছেন।

হাবিবুর ও জয়কে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ  বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের  বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r

একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত  আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ