ফিটনেস পরীক্ষার পর রিয়াদের খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত
Published: 23rd, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ ওয়ানডে ফরম্যাটে দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন তিনি। দারুণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে কাটিয়েছেন।
পরে তার একাদশে না থাকার কারণ ইনজুরি বলে জানা যায়। সোমবার বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচেও অভিজ্ঞ ব্যাটারের খেলার নিশ্চয়তা দেননি কোচ ফিল সিমন্স। জানিয়েছেন, ফিটনেস পরীক্ষার পর রিয়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘আমরা আজ (রিয়াদ খেলবে কিনা) জানতে পারবো। আজ তার ফিটনেস টেস্ট আছে। দলের অনুশীলন আছে। তারপর জানতে পারবো, সে একাদশে থাকার জন্য ফিট কিনা।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে বাংলাদেশ দলে একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে। রিয়াদ ফিরতে পারেন। তাকে জায়গা করে দিতে এক ব্যাটারকে বাদ দিতে হবে। আবার পেস বোলিং আক্রমণে নাহিদ রানা ফিরতে পারেন একাদশে।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ সিমন্স জানিয়েছেন, রিয়াদের ফেরা না ফেরার ওপর নির্ভর করবে দলের ভারসাম্য কেমন হবে, ‘আমরা ভিন্ন ভিন্ন অনেক বিষয়ই চিন্তা করছি। আাগে দেখব, রিয়াদ ফিট কিনা। উইকেট দেখব। এরপর দলে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করবো। আজকের অনুশীলন শেষে এ সম্পর্কে ধারণা পাবো। সন্ধ্যায় আমরা একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত জিতলে এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হারলে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্য টিকে থাকার লড়াই। শান্তদের জন্য যা চাপেরও ম্যাচ। তবে কোচ সিমন্সের মতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ চাপের। কারণ সেরা ৮টি দল এখানে খেলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল স মন স স মন স
এছাড়াও পড়ুন:
‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা কমপ্লায়েন্স অনুসরণে
অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদের আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স’ শীষর্ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্টার এ. কে. এম নুরুন্নবী কবির এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নুরুন্নবী কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে ৩ লাখ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত রয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়ে থাকে।’’
তিনি জানান, শুধু কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয়টি আনলাইন সেবার বাইরে আছে। যেটি ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়সমত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদেরকে আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।’’
বিশেষ করে সরকারের সকল সেবা প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কমপ্লায়েন্স মেনে চলার উপর তিনি জোরারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও শিল্পখাতের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে লিমিটেড কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি আইন, গঠনতন্ত্র বা কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়ের জটিলতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’’
কর্মশালাটি পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা প্রভৃতির গুরুত্ব, সময়মতো এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পদ্ধতি, কোম্পানি আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স বজায় রাখার কৌশল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে বলে জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
ঢাকা/নাজমুল//