যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত যেসব অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রীয় সরকারে নিবন্ধিত হননি, তাঁরা উল্লেখযোগ্য জরিমানা, সম্ভাব্য কারাদণ্ড কিংবা দুটোরই মুখোমুখি হতে পারেন। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের জারি করা একটি নির্দেশনায় এ তথ্য জানা গেছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন সব অভিবাসন আইনের প্রয়োগ করবে। আমরা বেছে বেছে কোনো আইন প্রয়োগ করব না। আমাদের মাতৃভূমি ও সব মার্কিন নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আমাদের নিশ্চয়ই জানা উচিত, কে আমাদের দেশে আছেন।’

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুসারে, মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করার সময় ১৪ বছরের বেশি বয়সী যেসব অভিবাসী নিবন্ধিত হননি কিংবা আঙুলের ছাপ দেয়নি এবং যাঁরা ৩০ দিন বা এর বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাঁদের সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে এবং আঙুলের ছাপ দিতে হবে।

ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, একজন অভিবাসী যখন নিবন্ধন করে আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নিবন্ধনের প্রমাণপত্র সরবরাহ করবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী অভিবাসীদের সব সময় এ প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হয়।

দ্বিতীয় মেয়াদে গত মাসে ক্ষমতায় ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারে অভিবাসীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন২১ জানুয়ারি ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের সিবিপি ওয়ান এন্ট্রি কর্মসূচি বন্ধের চেষ্টা করছে। এ কর্মসূচি লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিয়ে কয়েকটি তথ্য১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন