সিনিয়র ফুটবলারদের রেখে একেবারে তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। এদিকে নারী ফুটবলে বয়ে যাওয়া ঝড়ও পুরোপুরি থামেনি। এর মধ্যে গতকাল আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।

হার নিয়ে কে কী বলল, এসবে যেন একদমই কান দিতে চাইছেন না বাটলার। বরং এই দল নিয়েই আশা দেখছেন তিনি। ম্যাচের পর হারের ব্যাখ্যার পাশাপাশি এই ইংলিশ কোচ মানুষের সমালোচনার জবাবটা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমার মনে হয়, নির্দিষ্ট কিছু মানুষ (এই হারে) হাসবে এবং রসিকতা করবে…কিন্তু আমি সব সময় বিশ্বাস করি, এই দল অনেক দিন টিকবে। আমি মনে করি এই সফরে জয়টা মুখ্য নয়, উন্নতি করাটা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সাফের জন্য দল গড়ে তোলা এবং এএফসির প্রতিযোগিতার দিকে এগিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

গত ৩০ জানুয়ারি সিনিয়র ১৮ ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর নতুনদের নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যান বাটলার। যদিও ১৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার জানান, মেয়েরা অনুশীলনে ফিরতে রাজি। তবে লম্বা সময় অনুশীলনের বাইরে থাকায় বিদ্রোহীদের ছাড়াই ২০ ফেব্রুয়ারি আমিরাত সফরের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাফুফে, যেখানে বেশির ভাগই নবাগত ফুটবলার।

প্রীতি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৩–১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ত ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ