মা হচ্ছেন কিয়ারা আদভানি। বিয়ের ঠিক দু’বছর পর এই সুখবর এলো কিয়ারা ও তাঁর স্বামী অভিনেতা ও সিদ্ধার্থ মলহোত্রার কাছ থেকে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে তারকা দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের সংসারে আসতে চলেছে নতুন সদস্য। সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার দুই জোড়া হাতের উপর রাখা সাদা রঙের ছোট্ট এক জোড়া মোজার ছবি পোস্ট করে ঘরে নতুন অতিথি আগমনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। 

একই সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমাদের জীবনের সেরা উপহার। শিগগিরই আসছে।’ এই খবরের পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিদ্ধার্থ-কিয়ারার পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তায় সিক্ত হচ্ছেন এই তারকা দম্পতি। বলিউডে একাধিক তারকাও তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইশান খট্টর, নেহা ধুপিয়া, হুমা কুরেশি, রিয়া কাপুরসহ আরও অনেকে ভালবাসায় ভরিয়েছেন হবু মা-বাবাকে। সংবাদ মাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, বিয়ের পরপরই ২০২৩ সালেও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, মা হতে চলেছেন কিয়ারা। জয়পুরে ছবির প্রচারে অভিনেত্রীর পরনে ছিল ব্রালেট, তার উপরে রাজস্থানি হাতের কাজের বেøজার ও প্যান্ট। তার মধ্যে থেকেই নাকি উঁকি দিচ্ছিল অভিনেত্রীর স্ফীতোদর, এমনটাই দাবি ছিল নেটিজেনদের। তবে সেটি যে নিছক গুঞ্জন মাত্র, তা সময়ই প্রমাণ করেছে। তবে এবারের বিষয়টি আর গুঞ্জন বলে মনে করছেন না কেউ। 

এদিকে কিয়ারা আদভানি ব্যস্ত সময় পার করছেন ‘ডন’ ফ্র্যাঞ্চইজির তৃতীয় কিস্তি ‘ডন-থ্রি’ সিনেমার শুটিং নিয়ে। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ অভিনয় করছেন ‘পরম সুন্দরী’ নামের নতুন সিনেমায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য় র আদভ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ