মেহেরপুরে হেডলাইটের আলো দেখে ৩টি হাতবোমা ফেলে পালাল ‘ডাকাত দল’, পরে উদ্ধার
Published: 1st, March 2025 GMT
‘আমরা ছয়জন মিলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথে রামকৃষ্ণপুর এলাকায় একটি কালভার্টের ওপর চার-পাঁচজন ডাকাত দাঁড়িয়ে ছিল। একসঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেলে হেডলাইটের আলো দেখে পুলিশ ভেবে বোমা ফেলে পালিয়ে যায় তাঁরা।’
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় একটি কালভার্টের ওপর থেকে তিনটি হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করছিলেন রাশেদুজ্জামান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া-তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামীণ সড়কের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি জানিয়ে গাংনী থানা-পুলিশকে খবর পাঠালে তারা ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ওই সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একটি চক্র। একসঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল দেখে তারা পুলিশ মনে করে বোমাগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি হাতবোমা উদ্ধারের পর থানায় আনা হয়েছে। এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে।
এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাণী ইসরাইল। তিনি বলেন, ডাকাতির জন্য হাতবোমাগুলো নিয়ে কালভার্টের ওপর অপেক্ষা করছিলেন চক্রটির একাধিক সদস্য। তাঁদের অপতৎপরতা রুখতে পুলিশের অভিযান চলমান। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কিংবা এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করতে বোমাগুলো ফেলা হতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।