চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নগরের ষোল শহর ২ নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ মামলার আসামি মো. শিবলুর (২৮) অস্ত্র হাতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিবলু চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হেটিখাইন এলাকার নাসির মেম্বারের বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে বলে জানা গেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতের দিকে কয়েকটি ছবিও ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভিডিওটি কখনকার, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, শিবলুকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মো.

শিবলু এক হাতে মুঠোফোনে ভিডিও করছেন এবং অপর হাতে অস্ত্র ধরে আছেন। ভিডিওটি শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় নগরের পাঁচলাইশ মডেল থানার ষোল শহর চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ ও অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিমকে (৪০) প্রধান আসামি করে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে ছাত্রদলের নেতা জিয়াউল হক জোনাইদ (৩৩) একটি মামলা করেন পাঁচলাইশ থানায়। ওই মামলায় ৬৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি শিবলু।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ভিডিও ও ছবি পাওয়ার পর শিবলুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া

ফখরুলের কণ্ঠ নকল, সতর্ক করল বিএনপি

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি রাজনীতি জীবনের দীর্ঘ পথচলা, পরিবারের ত্যাগ এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধর্য্য ধরারও আহ্বান জানান। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, “মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সাথে থাকার জন্য!”

তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিলো! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিলো! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!”

“আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!”

তিনি আরো বলেন, “এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন!  যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে! ”

সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি লেখেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ!  আপনারা পাশে থেকেন।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ