রমজানে অন্যান্য বছরের ন্যায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “এটা আপনাদের বলতে বা স্বীকার করতে হবে যে, এবার জিনিসপত্রের দাম গতবারের চেয়ে কম রয়েছে। আর অভিযান না চালিয়েও যদি জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেটা তো আরো ভালো।”

উপদেষ্টা রবিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইনে অবস্থিত পাবলিক ম্যানেজমেন্ট অর্ডারের ব্যারাকগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

আইন-শৃঙ্খলার এত নাজুক অবস্থা স্মরণকালে নেই: জিএম কাদের

পূজায় বরাদ্দ ৪ কোটি টাকা, দশমী পর্যন্ত থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

উপদেষ্টা বলেন, “অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতেও রমজানে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে রাখা হয়। আর আমাদের দেশে উল্টোটা হয়। রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়।”

লালমাটিয়ায় দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমি যতটুকু জেনেছি, উনারা নাকি সিগারেট খাচ্ছিলো, কিছু লোক সেখান দিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। উনারা (লোকেরা) বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুঁড়ে মেরেছিল।” 

তিনি বলেন, “পাবলিক প্লেসে ধূমপান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরাধ। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, কেউ যেন উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান না করে। রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। রমজানে দিনের বেলায় বাইরে যেন কেউ খাবার না খায়। এটা করতে পারলে রোজাদারদের সম্মান করা হয়।”

উপদেষ্টা এর আগে ‘পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম)’ এর ব্যারাকসমূহ পরিদর্শন করেন। তিনি তাদের বাসস্থান ঘুরে দেখেন ও খাবারের মান বিশেষ করে বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। খাবারের মানের ব্যাপারে যেন কোনো আপস না করা হয়-এ বিষয়ে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। 

উপদেষ্টা এ সময় জানান, রমজানের সময় ব্যারাকের পুলিশ সদস্যদের জন্য প্রাপ্য (নির্দিষ্টকৃত) খাবারের চেয়ে বেশি খাবার দেওয়া হয়। ব্যারাকসমূহের রান্নাঘরের গ্যাস লাইনে পর্যাপ্ত প্রেসার বা চাপ না থাকায় রান্নায় সমস্যা হচ্ছে বিধায় উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালানি উপদেষ্টাকে বিষয়টি অবহিত করেন ও সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

ঢাকা/এমআর/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন জ ন সপত র র দ ম রমজ ন র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ