Samakal:
2025-06-16@06:01:10 GMT

সেতুর সংযোগ সড়কে ধস

Published: 2nd, March 2025 GMT

সেতুর সংযোগ সড়কে ধস

মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বেরুয়া খালের ওপর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সেতুটি উদ্বোধনের এক বছর যেতে না যেতেই এমন অবস্থা হয়েছে। বর্ষায় সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৯৬ লাখ ২৭ হাজার ২৬৩ টাকা। যার চুক্তি মূল্য ছিল ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯৯ টাকা। কাজটি পায় নেত্রকোনার মেসার্স শেখ সাদিক আদনান নূর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটির উদ্বোধন হয় ৮-৯ মাস আগে। 
ঠিকাদার শামীম মিয়া বলেন, ‘অনেক আগেই কাজ শেষ করেছি। আপনারা কোনো কিছু জানতে চাইলে প্রকল্প অফিসে গিয়ে জানেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, টানা বৃষ্টিতে সংযোগ সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। টিআর কাবিখার মাধ্যমে সেতুর সংযোগ সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।

নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।

আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ