ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান, গ্রেপ্তার ৪
Published: 3rd, March 2025 GMT
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গভীর রাতে অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
সোমবার (৩ মার্চ) ভোরে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে পৌরসদরের দক্ষিণ কামারগ্রাম এলাকা থেকে মাদক বেচাকেনার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বোয়ালমারী পৌরসদরের দক্ষিণ কামারগ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান, একই এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী রিপন শেখ, ইয়াবা ব্যবসায়ী তুষার মাতবর ও কবির শেখ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০ পিস ও ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক দেওয়ান শামীম খান বাদি হয়ে সোমবার দুপুরে থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৩।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, “বোয়ালমারী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকদ্রব্যসহ ৪ মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তরা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে থানায় মামলা হয়েছে।”
ফরিদপুর/তামিম/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।