রাজধানীর বিখ্যাত আর ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্টের অংশগ্রহণে তৃতীয়বার বনানীতে গ্র্যান্ড ইফতার বাজার-পাওয়ার্ড বাই সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস আয়োজন করেছে গ্রোসারি ডেলিভারি সেবাদাতা ফুডপ্যান্ডা। রমজান মাসজুড়েই বনানীর সোয়াট ফিল্ডে থাকবে বিশেষ ইফতার সমাহার।

অ্যাপে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি রেস্টুরেন্টের ইফতারসামগ্রীর সঙ্গে দেশের খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টের খাবার পাওয়া যাবে।
আয়োজনস্থলে ডাইন-ইনের সুবিধা রয়েছে। অ্যাপে দুপুর ২টা থেকে অর্ডার করা যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এমন উদ্যোগ তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিদেশি বিনিয়োগ আনার সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির গ্র্যান্ড ইফতার বাজার এমন আয়োজন, যেখানে ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্টকে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে আসায় রমজানের আনন্দকে আরও বড় পরিসরে উদযাপন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও ঐতিহ্যের এমন যোগসূত্র সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে– এমন উৎসব যেন তারই প্রমাণ।

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী বলেন, উদযাপনের অনুষঙ্গ খাবার আর প্রতিটি উৎসব খাবারের মাধ্যমে আরও স্মরণীয় হয়ে থাকে। আমরা পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার কেনার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি। ভেন্যুতে পছন্দের রেস্টুরেন্ট থেকে পছন্দের খাবার পিকআপ করার সঙ্গে থাকবে বসে খাওয়ার সুযোগ। প্রয়োজনে বাসায় অর্ডার নেওয়া যাবে।

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা বলেন, আত্মশুদ্ধি, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাস রমজান। যে মাসের মহিমাকে ছড়িয়ে দিতে নির্দিষ্ট জায়গায় ঢাকার জনপ্রিয় ও বিখ্যাত সবকটি রেস্টুরেন্ট এনে গ্র্যান্ড ইফতার বাজার আয়োজন করা হয়েছে।

ঐতিহ্য উদযাপনে গ্রাহক সম্পৃক্ত করা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানদের সহায়তা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

ইফতার আয়োজনে ডমিনোজ, টেকআউট, দোসা এক্সপ্রেস, জয়পুর সুইটস, বার-বি-কিউ টুনাইট, বিউটি লাচ্ছি, চিকেন বাজ, ডিসেন্ট পেস্ট্রিশপ, মোস্তাকিম কাবাব, রাতের কাবাব, তাজিন-নাওয়াবি ক্যুইজিন, তার্কা, ট্রাই স্টেট ইটারি, ইফতারওয়ালা, ওয়াফেল টাইম ও মিঠাইওয়ালার মতো নতুন ও পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় সব রেস্তোরাঁ অংশ নিয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র য ন ড ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।

মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।

সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।

প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।

আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।

মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার