চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তেপান্তর সাহিত্য সভার (তেসাস) আয়োজনে ‘রমজানের বিশেষ আলোচনা ও ইফতার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ‘উপমহাদেশে রমাদান ও ইফতার সংস্কৃতির বৈচিত্র্য’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তেসাসের সভাপতি শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান।

আরো পড়ুন:

দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রীর মৃত্যু: বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন

চবি প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩৮ ‘ভুল’

তেসাসের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ রিয়াদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওসমান মেহেদী। 

প্রধান আলোচক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, “ইফতারের সময় যে আনন্দঘন মুহূর্ত, সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এ মাসে পবিত্র কোরআন নাযিল হওয়ার কারণেই রমজান এত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসে কদরের রাত সর্বশ্রেষ্ঠ। কোরআনকে আমাদের অধ্যয়ন করতে হবে। কোরআন মৃত মানুষের জন্য নয়, বরং এটি জীবন্ত মানুষের দিকনির্দেশনার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র কোরআনের আলোকের সাজালে রমজানের উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।”

প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “রোযার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নৈতিক সমস্যা। আমরা যদি তাকওয়া অর্জন করতে পারি, তাহলে শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হব। একজন তাকওয়াবান মানুষ কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারবে না, দুর্নীতি করতে পারবে না।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ