তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের উদ্বোধনে বিরাট আয়োজন। প্রায় এক দশক কাগজে–কলমে কয়েকটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই টুর্নামেন্ট এবার হচ্ছে ৬০ দল নিয়ে। এর উদ্বোধনে হাজির হন নাজমুল হোসেন—৬০ দলের অধিনায়ককে ‘সততা’র শপথবাক্যও পাঠ করান তিনি। এখনো নাজমুলের পরিচয় তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক। কদিন আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কিন্তু তাঁকে আর টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে না। নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন নাজমুল। এখন তাই অবধারিতভাবেই নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে বিসিবিকে। কে হবেন নতুন টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক?

আরও পড়ুনআইসিসি টুর্নামেন্টে ‘রাজা’ ভারত, ‘রানি’ নিউজিল্যান্ড৪২ মিনিট আগে

আজ মিরপুরে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক আহমেদের উত্তর, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেব। খুব শিগগির জানা যাবে (কে অধিনায়ক)। ইতিমধ্যে দু–একজন টি–টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব করেছেন, যারা এখনো দলের বাইরে নয়। এ রকম কাউকে আমরা চেষ্টা করব (অধিনায়কত্বে)।’

আমাদের চেষ্টা থাকবে। আমি আগামী বিশ্বকাপে (ভালো করায়) বিশ্বাস করি না। আমি যখন ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে নির্বাচক ছিলাম, তামিম–সাকিব–মুশফিক ওরা লাইমলাইটে এসেছিল। বোর্ড থেকে একটা পলিসি দেওয়া হবে। আমরা বলে দেব কী চাই।বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, মিরপুরে সাকিবকে নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে

সাম্প্রতিক সময়ে টি–টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করা ক্রিকেটার লিটন দাস। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টি–টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৩ সালে সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব নেন নাজমুল। এরপর কেবল লিটনই অধিনায়কত্ব করেছেন। বিসিবি সভাপতির কথা অনুযায়ী তাই নেতৃত্বের দৌড়ে লিটনের পাল্লাই ভারী।

টি–টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা বোর্ডকে জানিয়েছেন নাজমুল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ