সিলেটে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের আয়োজনে ইফতার মাহফিল
Published: 9th, March 2025 GMT
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সিলেট শাখা, দরগাহ গেট শাখা এবং সুবিদবাজার শাখার যৌথ উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর সুবিদ বাজারে একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত এই মাহফিলে ব্যাংকের সম্মানিত গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ ইউ.
তিনি তার বক্তব্যে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সেবা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মোহাম্মদ মাসুদ, নাজমুল ইসলাম নুরু, তাজ ট্টি এন্ড ট্রেডিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুসলেহ উদ্দিন খান এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আকিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট বেতারের নিয়মিত আলোচক ক্বারি মোহাম্মদ ইসহাক।পবিত্র রমজানের তাৎপর্য ও ইসলামের মূল্যবোধ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন ব্যাংকের মুরাকিব এবং শরীয়াহ্ ইন্সপেকশন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান মাওলানা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
বিভিন্ন শাখার গ্রাহকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন শিপার এয়ার সার্ভিস এর স্বত্বাধিকারী খন্দকার শিপার আহমেদ, ওয়েস্টার পোল্ট্রি এন্ড ফিশারিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসাইন, বারাকা পাওয়ার গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলীমুল এহসান চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার জাবেদ আহমেদ, ব্যবসায়ী হিসকিল গুলজার। মাহ্ফিলে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেটের জোনাল হেড ও সিলেট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ তোফায়েল ইয়াকুব এবং সমাপনী বক্তব্য দেন ব্যাংকের দরগাহ গেট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সিলেট শাখার কর্মকর্তা মো. শাহাদত বখত ও দরগাহ গেট শাখার কর্মকর্তা মো. সুহেল আহমেদ।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে বিশেষ দোয়া করা হয়।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস থ ম হ ম মদ ল ইসল ম অন ষ ঠ আহম দ ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।