রাজধানীতে চোর ও ছিনতাইকারী সন্দেহে ৮ জনকে গণপিটুনি
Published: 9th, March 2025 GMT
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকারী সন্দেহে রোববার আটজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, ছিনতাইকারী সন্দেহে যাত্রাবাড়ী এলাকায় চারজনকে, চকবাজারে দু’জনকে, মতিঝিল ও ভাটারায় দু’জনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক জানান, দুপুর ১২টার দিকে কোনাপাড়ায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় তিন সহোদর রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও রিপন মিয়াকে ধোলাই দিয়ে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করে। প্রায় একই সময় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ছিনতাইকারী সন্দেহে সোহাগ মিয়া নামে আরও একজনকে গণধোলাই দেওয়া হয়। চারজনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চকবাজার থানার এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, বকশীবাজার এলাকায় কাগজের কার্টন চুরির অভিযোগে অপু ও আলী নামে দু’জনকে গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বিকালে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মতিঝিল থানার এএসআই সাদ্দাম জানান, এজিবি কলোনি এলাকায় এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালানোর সময় গণধোলাইয়ের শিকার হয় তন্ময় নামে এক কিশোর।
ভাটারা থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, সোলমাইদ এলাকার একটি বাড়ির চারতলা থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ চুরি করে পালাতে গিয়ে সকালে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে মানিক মিয়া নামে এক যুবক। পরে তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণপ ট ন গণধ ল ই এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দুলারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেম দেওয়ানের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ান (৫৩), মৃত ইদ্রিস আলী দেওয়ানের ছেলে দাদন দেওয়ান (৫০), সোবাহান মল্লিকের ছেলে ও কাঁচিকাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিতু মল্লিক (৫০) এবং চরভাগা ঢালী কান্দি এলাকার আব্দুর রব সরকারের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আল আমিন সরকার (৪৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুলারচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসাচ্ছে একটি চক্র। শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ানের বাড়িতে জুয়ার আসর বসলে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সখিপুর থানায় মামলা শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন:
২০ শতাংশ শুল্ক দেশের জন্য ভালো খবর: ফখরুল
আ.লীগের নির্যাতন দেশের মানুষের ভুলে গেলে চলবে না: দুলু
দুলারচর এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, “প্রতিদিন রাতে এলাকায় জুয়ার আসর বসত। আমরা অনেকবার বলেছিলাম, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সবাই ভয় পায়। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক এবং আগামীতে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ না হয়।”
অপর বাসিন্দা রহিম দেওয়ান বলেন, “এরা দিনের বেলায় রাজনীতির নামে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন আর রাতে জুয়া খেলে সমাজকে নষ্ট করেন। আমরা বিষয়টি অনেক আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি, এই এলাকা থেকে জুয়ার সবকয়টি আসর বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াল্লেম বেপারি বলেন, “জিতু মল্লিক ও আল আমিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি বিষয়টি জেনেছি। জুয়া একটি সামাজিক ব্যাধি। এতে যেই জড়িত থাকুক, প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া। আমি থানা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”
সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ