ফরিদপুরের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে বসে ইফতারি সারলেন সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা। গত ৬ মার্চ সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে (শহর শাখা) শতাধিক ভ্যান, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে ইফতারি সারেন ফরিদপুরের সুহৃদরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– সুহৃদ উপদেষ্টা অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, ফরিদপুর সুহৃদের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহসভাপতি নাজমুল ইসলাম মিরান ও হারুনার রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবরাব নাদিম ইতু, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, নারী সম্পাদক শামীমা নাসরিন শিমু, সহ-স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা। শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবী নেতা, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ইফতার করতে পেরে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শ্রমজীবী মানুষ।
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘পবিত্র রমজান আমাদের সামাজিক ন্যায্যতার শিক্ষা দেয়। সমাজের শ্রেণিবৈষম্য বিলোপের তাগিদ দেয় এই মাস। সংযমসাধন ও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে আনতে পারলেই সার্থক হবে আমাদের এই ইবাদত। তিনি বলেন, সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করার মানসিকতা ও চর্চা বাড়াতে পারলেই প্রকৃত অর্থে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করা হবে। সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বিগত বছরগুলোর মতো এবারও একই উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আমাদের সব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সাম্য ও মানবতার বার্তা সমাজে পৌঁছে দিতে চাই।’ v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, ফরিদপুর
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।