সিলেটের হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া লেগুনা গাড়ির চালক আব্দুর রহিম ও গ্যারেজ মেকানিক রাকিব মিয়া বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তারা দু’জন জড়িত ছিল বলে আদালতকে জানিয়েছেন। বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

রাকিব মিয়া শাহপরাণ এলাকার দলইপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং লেগুনা চালক আব্দুর রহিম একই এলাকার উত্তর মোকামের গোল পীরেরবাজার এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে।   

মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান সমকালকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে মাজার এলাকা থেকে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের ছড়াগাং রাবার বাগান এলাকায় ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তারা আদালতে স্বীকারও করে। 

ওসি জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নির্যাতনের শিকার যুবতীর স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কয়েক দিন ধরে তার খোঁজ মিলছে না। কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাজার এলাকায় চলে যান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

সাভারে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেলোয়ার (৩৫) নামে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১ নভেম্বর) সকালে সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার দেলোয়ার একই এলাকার বাসিন্দা। 

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী সঙ্গে দেলোয়ারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হত। তরুণী বিদেশে যাবে বলে ওই যুবককে জানায়। অভিযুক্ত দেলোয়ার তার মায়ের মাধ্যমে তরুণীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। 

এ কথা শুনে দেলোয়ারকে তার মাকে নিয়ে বাসায় আসতে বলেন তরুণী। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে দেলোয়ার তার মা এবং অন্তর নামে এক বন্ধুকে নিয়ে তরুণীর বাসায় যান। আলোচনা শেষে দেলোয়ারের মা তরুণীর বাসা থেকে চলে যান। দেলোয়ার ও তার বন্ধু বাসায় অবস্থান করেন। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তারা তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী সাভার মডেল থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাভারে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১