সিলেটে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার চালক ও মেকানিকের স্বীকারোক্তি
Published: 12th, March 2025 GMT
সিলেটের হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া লেগুনা গাড়ির চালক আব্দুর রহিম ও গ্যারেজ মেকানিক রাকিব মিয়া বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তারা দু’জন জড়িত ছিল বলে আদালতকে জানিয়েছেন। বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রাকিব মিয়া শাহপরাণ এলাকার দলইপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং লেগুনা চালক আব্দুর রহিম একই এলাকার উত্তর মোকামের গোল পীরেরবাজার এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে।
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান সমকালকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে মাজার এলাকা থেকে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের ছড়াগাং রাবার বাগান এলাকায় ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তারা আদালতে স্বীকারও করে।
ওসি জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নির্যাতনের শিকার যুবতীর স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কয়েক দিন ধরে তার খোঁজ মিলছে না। কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাজার এলাকায় চলে যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।